গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে নজর কেড়েছে যশস্বী। অনেকেই তাকে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলা শুরু করলেও, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে খুব দ্রুত সাফল্য পেয়েছে সে। বিশ্বরেকর্ডের দিনে যশস্বীর সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে পরিবারের কথা। ফোনে তার মন্তব্য, ‘খুব কষ্ট করে আজ আমি এই জায়গায় পৌঁছেছি। পরিবার পাশে না থাকলে, এটা সম্ভব হত না। উত্তর প্রদেশের ভাদুইয়ে আমার বাড়ি। কিন্তু ওখানে পড়ে থাকলে বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম। বাবা সব সময় আমাকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। মুম্বইয়ে গিয়ে ক্রিকেট শেখার ইচ্ছা প্রকাশ করতেই বাবা বকাঝকা করতেন। কিন্তু বাবাই একদিন আমার মুম্বই যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। ওরলিতে এক কাকা থাকেন। আমি প্রথমে কাকার বাড়িতে উঠি। পরে মুসলিম ইউনাইটেড ক্লাবেও কয়েক রাত কাটাতে হয়েছিল। সেখান থেকেই আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। রাস্তাতেও রাত কাটিয়েছি। অর্থের অভাব মেটাতে রামলীলার সময় ফুটপাতে আমি পানিপুরিও বিক্রি করেছি। বেশ কিছু টাকা রোজগার হত। যা দিয়ে সপ্তাহ ভালোই চলে যেত। আমি যাদের সঙ্গে খেলতাম, তাদের দেখতাম ব্যাগ থেকে টিফিন বার করে খাচ্ছে। বাবা-মায়েরা খাবার নিয়ে আসছে। আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ছিল পুরো আলাদা। আমাকেই খাবার জোগাড় করতে হত, বানাতেও হত। অনেক দিন গিয়েছে, না খেয়েই কাটিয়েছি। কিন্তু লক্ষ্য থেকে কখনও সরে আসিনি। পরিবারের সঙ্গে তিন বছর দেখা হয়নি। মনে পড়লে চোখে জল চলে আসে। এই সাফল্যে পরিবার নিশ্চয়ই খুশি হবে।’