বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ক্রোয়েশিয়ার প্রাক্তন বিশ্বকাপার ইগর স্টিম্যাচের মতে, ম্যাচের চার মিনিটে ফরোয়ার্ড আশিক কুরিয়েনের গোলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন বাংলাদেশের ইয়াদিন। তাতে তাঁর মাথা ফাটে। ওই গোলটা হয়ে গেলে ম্যাচের ফল ঘুরে যেতে পারত। তবে এদিন ড্র করে ভারতীয় শিবিরে কিছুটা স্বস্তির হাওয়া। ম্যাচের শেষে সুনীল-আদিলরা ছুটে গেলেন গ্যালারির দিকে। গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা ভাইকিং ক্ল্যাপে ফুটবলারদের অভিবাদন জানান। তখন ভিআইপি গ্যালারি নীচে থাকা বাংলাদেশের সমর্থকদের উচ্ছ্বাস যেন থামতেই চায় না। তাদের মধ্যে কেউ ঢাকা থেকে এসেছেন, আবার কেউ কর্মসূত্রে কলকাতায় রয়েছেন। এসবের মাঝে ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর চোখে-মুখে শুধুই হতাশা। শেষ ১৩টি হোম ম্যাচে তিনি ১১টি গোল করেছেন। এদিন গোল পেলেন না। তবে আগলে রাখলেন সতীর্থদের। গুরপ্রীতকে মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিলেন সুনীল। গ্যালারিতে ছিলেন প্রাক্তন গোলরক্ষক দেবাশিস মুখার্জি। তিনি পরিষ্কার বলে গেলেন, ‘৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার একজন গোলরক্ষক এইভাবে গোল খাবে ভাবতে পারিনি! গুরপ্রীতই দলকে ডুবিয়ে দিল।’ তবে ভিভিআইপি বক্সে বাংলাদেশের হাই কমিশনার ও রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মুখে ছিল হাসি। ক্রীড়ামন্ত্রী বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে জড়িয়ে ধরে বলছিলেন, ‘ভগবান বোধহয় কোনও দেশকেই দুঃখ দিতে চাননি। তাই ম্যাচ ড্র হয়েছে।’
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, কলকাতায় অনেকদিন পর খেলা হল। অথচ ভারতীয় দলে কোনও বাঙালি প্লেয়ারকে খেলতে দেখা যায়নি। সল্টলেকে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা বাঙালি ফুটবলারদের খেলাননি কোচ স্টিম্যাচ। এই নিয়ে দর্শকদের মুখে ছিল সমালোচনা।
এদিকে, ভারতের কোচ ইগর স্টিম্যাচের চিন্তা নভেম্বরের দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ নিয়ে। তিনি এদিন বলেন,‘নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পাঁচ দিনের মধ্যে দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলব আমরা। আইএসএল শুরু হয়ে যাচ্ছে। তাই দীর্ঘমেয়াদী শিবির করতে পারব না। নভেম্বরের দু’টি ম্যাচ নিয়ে আমি সত্যিই উদ্বিগ্ন। প্রথমে আফগানিস্তানে খেলতে যাব আমরা। সেখান থেকে যেতে হবে ওমান। আফগানিস্তান থেকে ম্যাসকট যাওয়া একটি ফ্যাক্টর। ১৯ নভেম্বর ওমান ম্যাচে ছেলেদের তরতাজা থাকাটা বড় ব্যাপার। আমরা হয়তো আইএসএল দলগুলির কাছে সুনীল-উদান্তাদের কম খেলানোর অনুরোধ করব। আমি মনে করি ফেডারেশন, আইএসএল ক্লাব, আই লিগ ক্লাব এমনকী ভারতীয় মিডিয়া নিয়ে আমাদের বৃহত্তর সংসার। প্রাক বিশ্বকাপের পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়াই নয়, এএফসি কাপের মূলপর্বে খেলাও আমাদের লক্ষ্য। গতবার ভারত মূলপর্বে খেলেছিল। এবারও খেললে র্যাঙ্কিং বাড়বে।’