পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন স্টিম্যাচ। তাঁর স্ট্র্যাটেজি ছিল, উইং দিয়ে আক্রমণ শানিয়ে কাঙ্ক্ষিত গোল তুলে নেওয়া। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণে ইয়াসিন খান-রিয়াদুল হাসানদের দুরন্ত লড়াই তা হতে দেয়নি। প্রথমার্ধে কয়েকটি হাফ চান্স পেয়েছিল ভারত। বলা বাহুল্য তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন সুনীল ছেত্রীরা। এই পর্বে প্রতিপক্ষকে পরখ করে নেওয়াই ছিল বাংলাদেশের লক্ষ্য। মিডল থার্ড থেকে ডিফেন্সিভ থার্ড, এই পর্বে ফাঁকা জায়গা বিপক্ষকে উপহার দেয়নি জেমস ডে-ব্রিগেড। ৪২ মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। বাঁ দিক থেকে জামালের তোলা ফ্রি-কিক ভেসে আসে ভারতীয় বক্সে। সামনে আদিল খান-আনাসরা থাকলেও গোল ছেড়ে অহেতুক বেরিয়ে এসে অমার্জনীয় ভুল করেন গুরপ্রীত। দু’বাহু বাড়িয়েও তিনি বলের ফ্লাইট মিস করেন। ফাঁকায় থাকা সাদ উদ্দিনের কাজ ছিল হেডে বল জালে জড়ানো। তিনি কর্তব্যে গাফিলতি করেননি (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল ভারতের। কিন্তু তা হয়নি। ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, রেনিয়ার ফার্নান্ডেজ এবং চাংতেকে পরিবর্ত হিসেবে নামিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন কোচ ইগর স্টিম্যাচ। কিন্তু দক্ষ মিডফিল্ডার এবং স্ট্রাইকারের অভাবে তাঁর লক্ষ্য পূরণ হয়নি। বরং ৫১ মিনিটে রক্ষণের ভুলে জীবনের নেওয়া শট বাঁচান গুরপ্রীত। এরপর আনাসের প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ইব্রাহিম। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সুনীল বাংলাদেশ রক্ষণ ভাঙতে চাইলেও সহ-ফুটবলারদের অসহযোগিতায় তা পারেননি। তাঁর একটি ফ্রি-কিকও লক্ষ্যচ্যুত হয়। ৭৩ মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যায় ভারত। একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে জীবনের লব গুরপ্রীতের মাথা টপকে গোলে ঢোকার আগের মুহূর্তে বাঁচান আদিল। এই পর্বে অ্যাটাকিং থার্ডে বারবার খেই হারিয়ে ফেলতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় ফুটবলারদের। ৮৮ মিনিটে বাঁ দিক থেকে ব্রেন্ডনের ভাসানো কর্নারে আদিল খানের হেড সমতায় ফেরায় ভারতকে (১-১)। শেষপর্বে ভারত চাপ রাখলেও তা দ্বিতীয় গোল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ভারত: গুরপ্রীত, রাহুল ভেকে, আনাস (চাংতে), আদিল, সামাদ, অনিরুদ্ধ থাপা (রেনিয়ার), উদান্তা সিং, আশিক কুরুনিয়ান, মন্দার রাও দেশাই (ব্রেন্ডন), সুনীল ছেত্রী ও মনবীর সিং।