কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সোমবার কুয়ালালামপুরে এএফসি হেডকোয়ার্টার্সে আই লিগ ও আইএসএল ক্লাবগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন এএফসি কর্তারা। সেখানেই ভারতীয় ফুটবলের নতুন রোডম্যাপে শিলমোহর দিয়েছেন এএফসি’র প্রতিনিধিরা। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন টিম এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফে খেলবে। যাকে এশিয়ার টপ-টিয়ার ক্লাব টুর্নামেন্ট বলা হয়। আর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন এশিয়ার সেকেন্ড টিয়ার টুর্নামেন্ট এএফসি কাপে খেলবে। এএফসি’র সুপারিশ অনুযায়ী ২০২০-২১ মরশুমে দুটি আই লিগ ক্লাব আইএসএলে খেলার সুযোগ পাবে। যদি তারা লাইন্সেসিং শর্ত পুরোপুরি পূরণ করে। যার ফলে ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগানের আইএসএলের খেলার পথ খুলে গেল। তবে তারা ইতিমধ্যে লাইন্সেসিং শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটিকে সেই শর্ত পূরণ করেছে। তবে দুই প্রধান এই শর্ত পূরণ করার আবার কিছুটা সময় পাবে। মোহন-ইস্ট চাইছে, আইএসএলে খেলার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি হিসেবে ১৫ কোটি টাকা মকুব করা হোক। এএফসি এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে এআইএফএফের সচিব কুশল দাস পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতার দুই বড় ক্লাবকে ১৫কোটি দিয়েই আইএসএলে খেলতে হবে। এএফসি’র প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২২-২৩ মরশুম থেকে আই লিগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব সরাসরি আইএসএলে উত্তীর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে সেই ক্লাবের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি লাগবে না। তবে সেই ক্লাবকে ও যাবতীয় লাইসেন্সিং শর্ত পূরণ করতে হবে।
এএফসি’র সচিব দাতো উইন্ডসোর জন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের উন্নয়নের স্বার্থে সেরা সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। দেশীয় ফুটবলের উন্নতি করতে গেলে একটি মাত্র লিগ ছাড়া গতি নেই। আমরা এআইএফএফ’কে জানিয়ে দিয়েছি, দেশের সেরা লিগ আয়োজন করতে হলে ১০-১২টি টিম যথেষ্ট নয়। টিমের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আমি নিশ্চিত, এই রোডম্যাপে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হবে। এবার আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করতে হবে।’ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বলেছেন, ‘ভারতীয় ফুটবলের সব স্টেকহোল্ডার্সদের স্বার্থে এই রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই ম্যাপ তৈরির সময় ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত সবাইয়ের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য ঐতিহ্য ও বিনিয়োগ সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
মোহন বাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত ভারতীয় ফুটবলের এই রোডম্যাপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় ফুটবলের একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে লড়াই করেছি। অবশেষে আমরা লক্ষ্যে সফল। যেখানে পাঁচ বছর পর আইএসএলে প্রমোশন ও রেলিগেশন থাকছে। চতুর্থ বছর (২০২২-২৩) থেকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাব কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ছাড়াই আইএসএলে খেলার সুযোগ পাবে। এটাই ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ।’
প্রাক্তন আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাব মিনার্ভা পাঞ্জাবের কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে এআইএফএফের বিরোধিতা করেছিলাম, আইএসএল একনম্বর লিগের স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে। এখন আমরা খুশি আইএসএলে আই লিগের ক্লাবগুলিও গুরুত্ব পাবে। আইএসএলের চ্যাম্পিয়ন টিম সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে না (প্লে-অফ খেলতে হবে)। এএফসি’র এই সিদ্ধান্তও আমাদের বিরোধিতার সুফল।’