কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রশ্ন: ওমান এবং কাতার, গ্রুপের প্রথম দুই প্রতিপক্ষই ভারতের থেকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের থেকে আপনারা এগিয়ে? তাই চ্যালেঞ্জ কতটা কঠিন?
উদান্তা সিং: বাংলাদেশ অবশ্যই কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে ওরা কী স্ট্র্যাটেজিতে খেলবে তা নিয়ে আমি ভাবছি না। এটা স্টিম্যাচ স্যারের ভাবনা। আমরা শুধু ওঁর পরিকল্পনা মাঠে রূপায়িত করতে চাই। কাতার ম্যাচের লড়াই আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে, আত্মতুষ্ট নয়।
প্রশ্ন: ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা কতটা কাজে লাগাতে পারবেন?
উদান্তা সিং: বেঙ্গালুরু এফসি’র হয়ে যুবভারতীতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তখন তাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে মোহন বাগান, ইস্ট বেঙ্গল কিংবা এটিকে’কে সমর্থন জানিয়েছেন। এই প্রথমবার কলকাতার ফুটবল অনুরাগীদের সমর্থন পাব। আর তা কাজে লাগাতেই হবে। সুনীল ভাইয়ের কাছে কলকাতার সমর্থকদের অনেক কথা শুনেছি। জানি, এরকম সমঝদার অনুরাগী ভারতের অন্য কোনও শহরে নেই। ভালো খেললে প্রশংসা জুটবে। আর অন্যথায় ইতিবাচক সমালোচনা। শুনছি, মঙ্গলবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে। এরকম অনবদ্য পরিবেশে সেরা পারফরম্যান্স উজাড় করে দিতে সবাই মুখিয়ে আছি।
প্রশ্ন: এই ভারতীয় দলের মূলধন কী?
উদান্তা সিং: দলগত সংহতি। প্রয়োজনে ফরোয়ার্ডরা নেমে এসে রক্ষণ মজবুত রাখছে। আবার সেট পিসের সময় সন্দেশ ভাইরা উঠে গোলের চেষ্টা করছে। এটাই বড় ব্যাপার। মর্ডান ফুটবলে এই স্পিরিটটাই আসল। স্টিম্যাচ স্যারের চিন্তাভাবনা এবং ফুটবল দর্শন অত্যন্ত আধুনিক। যার প্রতিফলন আমাদের পারফরম্যান্সে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। ওমান এবং কাতারের বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই প্রত্যেকের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তবে ওই দু’টি ম্যাচ অতীত। এখন লক্ষ্য, বাংলাদেশকে হারানো।
প্রশ্ন: অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের মিশ্রণে কতটা লাভবান ভারতীয় দল?
উদান্তা সিং: আমি আগেই বলেছি, স্টিম্যাচ স্যার খুবই আধুনিক। এই দলে সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধুদের পাশাপাশি অমরজিৎ, নরেন্দররাও রয়েছে। সিনিয়র ফুটবলারদের সংস্পর্শ এবং কোচের সান্নিধ্যে ওরা তৈরি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। শুধু বর্তমান নয়, কোচ ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ তৈরিতেও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।