বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতের ‘লাস্ট লাইন অব ডিফেন্স’ গুরপ্রীত সিং সান্ধু বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে সেরা খেলা মেলে ধরতে তৈরি বাংলাদেশ। কাতারের বিরুদ্ধেও ওরা যথেষ্ট লড়াই করেছিল। তাই সতর্ক থাকতেই হবে। কাতার ম্যাচ ড্র হওয়ার পর আমাদের ঘিরে প্রত্যাশা বেড়েছে। তবে এই পরিবর্তন একদিনে হয়নি। দু’বছর আগে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে কিরঘিজস্তান ম্যাচ থেকেই ভারতীয় ফুটবলের ধারা বদলেছে। তারপর মায়ানমার এবং চীনের বিরুদ্ধে ড্র করে আমরা নিজেদের লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছি। তখন অনেকে বুঝতে পেরেছিলেন যে, অ্যাওয়ে ম্যাচেও ভারত ভালো খেলতে পারে।’ উল্লেখ্য, সেই সময় চীনের কোচের পদে ছিলেন আরিগো সাক্কি।
ডিপ ডিফেন্সে সন্দেশ ঝিংগান না থাকায় কি আপনার উপর চাপ বাড়বে? প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘকায় গুরপ্রীত জানালেন, ‘শুধু আমি নই, সন্দেশের অনুপস্থিতির কারণে প্রত্যেকেকেই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। ও আমাদের রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ। আশা করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে সন্দেশ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রক্ষণ কীভাবে সাজাবেন তা কোচই জানেন। সন্দেশের পরিবর্ত নিশ্চয়ই উনি তৈরি রেখেছেন।’
ইউনাইটেড স্পোর্টস এবং ইস্ট বেঙ্গলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে গুরপ্রীতের। তাই যুবভারতী তাঁর চেনা মাঠ। স্মৃতির সরণি বেয়ে পাঞ্জাবি গোলরক্ষকটি বললেন, ‘প্রথম ডার্বির কথা এখনও স্পষ্ট মনে আছে। প্রায় এক লক্ষ দর্শক সেদিন ছিলেন গ্যালারিতে। এরকম পরিবেশ খুব কম পেয়েছি।’
কাতারের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলেছিলেন গুরপ্রীত। কিন্তু সেই ম্যাচকে জীবনের সেরা বলতে নারাজ তিনি। প্রসঙ্গক্রমে তাঁর বিশ্লেষণ, ‘গোল বাঁচানো আমার কর্তব্য। সেটাই পালন করছি মাত্র। এরকম ম্যাচ আগেও খেলেছি। তবে প্রতিপক্ষ কাতার বলে হয়তো এই পারফরম্যান্স অনেক বেশি সমাদৃত হয়েছে। তবে ওই ম্যাচ অতীত। এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে। বাংলাদেশ ম্যাচে ফোকাস করছি।’ ২০১০-১১ মরশুম থেকে জাতীয় দলে রয়েছেন গুরপ্রীত। চোখের সামনে দেখেছেন অনেক পরিবর্তন। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, ‘ফুটবল পরিবর্তনশীল। প্রায় ন’বছর হল জাতীয় দলে রয়েছি। তখন দলে সিনিয়র ফুটবলারদের দেখেছি। এখন জুনিয়ররা পাশে রয়েছে। টেকনিক্যালি ও ট্যাকটিক্যালি অনেক পরিবর্তন এসেছে এই খেলায়। ফুটবলাররা এখন নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক বেশি সচেতন।’