কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হ্যাটট্রিক করে নজির গড়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। তবে চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে খেলছেন না তিনি। তাঁর অনুপস্থিতিতে দারুণ ভাবে পেস আক্রমণের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মহম্মদ সামি। বিশাখাপত্তনম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিন সহায়ক পিচেও পাঁচ উইকেট তুলে নেন সামি। টিম ইন্ডিয়ার শক্তিশালী পেস আক্রমণ মুগ্ধ করেছে কপিলকে। সাম্প্রতিক কালে দেশে-বিদেশে ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের এমন দাপট প্রসঙ্গে কপিল বলছেন, ‘সত্যি বলতে কী, ভারতীয় ক্রিকেটে এরকম পেস আক্রমণ আমি আগে কখনও দেখিনি। কখনও কল্পনাও করতে পারিনি। আমি মনে করি, শেষ চার-পাঁচ বছরে ফাস্ট বোলাররা ভারতীয় ক্রিকেটের মুখটাই বদলে দিয়েছে।’ বহুকাল ধরে ব্যাটসম্যান এবং স্পিনাররাই ভারতীয় ক্রিকেটের পুরোধার সম্মান পেয়ে এসেছেন। কিন্তু এখন ফাস্ট বোলাররাও তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জেতাচ্ছেন। পেসারদের এই উত্থানের পিছনে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কপিল। তিনি বলেন, ‘পেস আক্রমণ তৈরি করতে সময় লেগেছে। আইপিএলের জন্য এখন অনেক ফাস্ট বোলার নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছে। বেশি ক্রিকেট খেললে বেশি প্লেয়ার উঠে আসবে। আর সে জন্য তরুণদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ দিতে হবে।’
জসপ্রীত বুমরাহই যে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বোলার, তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন কপিল। তিনি বলেন, ‘বুমরাহর বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল যে ওর লেথাল সুইং বুঝতে সমস্যায় পড়ে ব্যাটসম্যানরা। আর সেটাই ওকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দিয়েছে।’ দলের সেরা পেসারের অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনম টেস্টে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন মহম্মদ সামি। যদিও তিনি আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশ বোলারের তালিকায় নেই, তবুও সামির যোগ্যতা বা দক্ষতা নিয়ে কোনও রকম সংশয় নেই কপিলের মনে। কিংবদন্তি প্রাক্তন অলরাউন্ডারটির কথায়, ‘সেরা দশ বোলারের তালিকায় সামি না থাকলেও, তাতে কিছু যায় আসে না। দলের হয়ে ও কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ বুমরাহ ও সামিকে সরিয়ে রাখলে ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদবরাও ভারতকে সাফল্যের মুখ দেখাচ্ছেন বলে মনে করেন কপিল। একই সঙ্গে তরুণ দীপক চাহার ও নভদীপ সাইনিরাও টিম ইন্ডিয়ার পেস অ্যাটাককে সমৃদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কপিল দেব। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, স্বার্থের সংঘাত বলতে কি বোঝানো হচ্ছে। আমি তো কোনও রকম বোর্ডের স্থায়ী পদে আসিনি। আমাকে সাময়িক ভাবে ওই সাম্মানিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও আমার বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠায় আমি রীতিমতো অবাকই হয়েছিলাম। তাই কোনও রকম বিতর্কে না গিয়ে পত্রপাঠ ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’