বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ভাস্কর গাঙ্গুলি: কাতার ম্যাচে গুরপ্রীতের গোলকিপিং দেখে অবাক হয়েছি! কী আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিপিং করল! খেলতে খেলতে একটা গোলরক্ষকের অভিজ্ঞতা বাড়ে। গুরপ্রীতের ক্ষেত্রে যা হয়েছে। একটা কথা পরিষ্কার বলি, ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিম্যাচ যখন গুরপ্রীতকে নিয়মিত খেলাচ্ছেন, তখনই বুঝতে হবে ওর যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে। তাছাড়া গুরপ্রীতের আশেপাশে তেমন কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে নিয়মিত খেলার সুযোগটা ও কাজে লাগিয়েছে। কোনও সন্দেহ নেই, গোলরক্ষকদের উচ্চতা একটা ফ্যাক্টর। আমরা শুনেছি, থঙ্গরাজ, প্রদ্যোৎ বর্মণদের ভালো উচ্চতা ছিল। কিন্তু গুরপ্রীতের ঈশ্বরপ্রদত্ত উচ্চতা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলরক্ষকদের ভালো উচ্চতা হলে বিপক্ষ স্ট্রাইকাররা সমীহ করবেই। গোলবক্সে গুরপ্রীতের রিচ এইজন্যই এত ভালো। তা বলে গুরপ্রীতের সবটাই কি নিখুঁত? তা আমি বলব না। লম্বা হলে নীচের বলে ওর যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। তবে খেলতে খেলতে তা ঠিক হয়ে যাবে। অনেকে জানতে চাইছেন, গুরপ্রীত কি সুব্রত পালের থেকে বড় গোলরক্ষক? আমি সেই তুলনায় যেতে চাই না।
অতনু ভট্টাচার্য: আমি তো মনে করি এশিয়ার সেরা তিন গোলরক্ষকের মধ্যে গুরপ্রীত থাকবেই। এত কম বয়সে এত পরিণত বোধ নিয়ে জাতীয় দলের গোলরক্ষা করছে, ভাবাই যায় না! ইস্ট বেঙ্গলে গোলরক্ষক কোচ থাকাকালীন আমার অধীনে ছিল গুরপ্রীত। তখনই দেখে বুঝেছিলাম, ও অনেকদূর যাবে। কিন্তু নরওয়ের ক্লাবে খেলে আসার পর অভাবনীয় উন্নতি করেছে সে। আন্তর্জাতিক মানের উচ্চতা, লং কিক ও লং থ্রো রয়েছে ওর তূণে। একটা স্টেপ আউট করেই গোলকিপিং এরিয়ায় সে অনেকটা কভার করতে পারে। স্ট্রাইড ঈর্ষণীয়। ফিটনেস খুব ভালো ধরে রেখেছে। ভারতীয় দলে খেললে এত বল আসে গোলরক্ষকদের কাছে তাতে গুরপ্রীতদের প্রমাণ করতে সুবিধা হয়। মহমেডান স্পোর্টিংয়ে খেলার সময় আমার এই উপলব্ধি হয়েছিল।
সন্দীপ নন্দী: ভারতীয় ফুটবলে গুরপ্রীত একেবারে ভিন্ন ধরনের গোলরক্ষক। সেইভাবেই নিজের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন এনেছে। উচ্চতা ওর ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। এটা ওঁর অলঙ্কার। মূলধনও। সেই ২০১১ সাল থেকে এই পরিবর্তন ওর মধ্যে লক্ষ্য করছি। ওকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতা দেখেই বলতে পারি, ওর শৃঙ্খলা, ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, মনঃসংযোগ, পরিশ্রম ভবিষ্যতে ওকে এশিয়ার সেরা গোলরক্ষকের জায়গায় বসাতেই পারে। একজন গোলরক্ষক ভালো খেললে তা সংক্রামিত হয় গোটা দলে। কাতার ম্যাচেই দেখলাম, একটাও ফলস স্টেপ ফেলেনি গুরপ্রীত। কোনও বিরাট ভুল করতে দেখিনি। আমার তো মনে হয় জে লিগ বা এশিয়ার সেরা দেশে অথবা ইউরোপে খেলার জন্য গুরপ্রীতের ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত। এটাই ওর আদর্শ বয়স বিদেশে খেলার জন্য। নরওয়ের স্টাবেকে খেলা গুরপ্রীতের জীবনে টার্নিং পয়েন্ট।