রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্বল্প সময়েই টেস্ট ক্রিকেটে প্রভাব বিস্তারে সফল মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মেলবোর্নে। প্রথম চারটি টেস্ট তাঁকে খেলতে হয়েছে বিদেশের মাটিতেই। নিখুঁত টেকনিক, শক্তপোক্ত ডিফেন্সের জোরে খুব দ্রুত টেস্ট দলে মানিয়ে নিতে পেরেছেন মায়াঙ্ক। তবে বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বড় রান না পাওয়ায় চাপ বাড়ছিল মায়াঙ্কের উপর। বাদ পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। তবে নির্বাচকরা আরও একটা সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন তরুণ ওপেনারটিকে। নির্বাচকদের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রেখে মায়াঙ্ক সেরা পারফরম্যান্সটা মেলে ধরতে সফল। ব্যাট হাতে এই ধারাবাহিকতা তাঁকে আগামী দিনে টেস্ট দলে টিকে থাকতে সাহায্য করবে।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার লক্ষ্যে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছে ভারত। তাই টসে জেতার পর অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানাতে দেরি করেননি। উইকেটে অল্পবিস্তর ঘাস ও বাউন্স উভয়ই ছিল। সেক্ষেত্রে প্রারম্ভিক পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামলে দিতে পারলে, বড় রান খাড়া করতে যে সমস্যা হবে না, সেটা ভালোই বুঝেছিলেন বিরাট। তবে ওপেনার হিসাবে রহিত গত ম্যাচে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রত্যাশার পারদ যেভাবে তুলেছিলেন, তা বজায় রাখতে পারেননি। রহিত এদিন ১৪ রানে রাবাডার বলে কট বিহাইন্ড হন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে ‘টিম ইন্ডিয়া’। দ্বিতীয় উইকেটে চেতেশ্বর পূজারাকে সঙ্গে নিয়ে মায়াঙ্ক ১৩৮ রান যোগ করেন। যদিও শুরুতে মায়াঙ্ক ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন। পাঁচ রানে লেগ বিফোরের জোরালো আবেদন উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আম্পায়ার্স কল হওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান মায়াঙ্ক। আরও একবার স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন। কিন্তু প্রথম স্লিপে কোনও ফিল্ডার না থাকায় রাবাদাকে হা-হুতাশ করতে দেখা যায়। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা বাদ দিলে মায়াঙ্ক কিন্তু সুন্দরভাবে শতরানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। হাফ-সেঞ্চুরি করতে একটু বেশি বল খেললেও, বাকি পঞ্চাশ রান যোগ করেছেন দ্রুত গতিতে।
অবশেষে রানের খরা কাটিয়ে উঠতে সফল চেতেশ্বর পূজারা। ১১২ বলে তাঁর সংগ্রহ ৫৮ রান। ৯টি বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ওভার বাউন্ডারিও হাঁকিয়েছেন পূজারা। তবে শতরানের পর মায়াঙ্ক আউট হয়ে যান। ১৬টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে তিনি১০৬ রানে রাবাদার বলে ডু’প্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে একমাত্র রাবাডাই কিছুটা চাপে রেখেছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের।
পূজারা ও মায়াঙ্ক পরপর আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন ক্যাপ্টেন কোহলি ও ভাইস ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে। প্রথম দিনের শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৭৩ রান। খারাপ আলোর কারণে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই দিনের খেলায় যবনিকা পড়ে। কোহলি ৬৩ ও রাহানে ১৮ রানে ক্রিজে আছেন। অধিনায়ক হিসাবে বিরাটের এটি ৫০তম টেস্ট ম্যাচ। যেভাবে তিনি ব্যাট করছেন, তাতে শতরান পাওয়া অসম্ভব নয়। কোহলিই নিশ্চয়ই চাইবেন, সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে।
স্কোরবোর্ড: ভারত (প্রথম ইনিংস)- মায়াঙ্ক ক ডু’প্লেসি বো রাবাডা ১০৮, রহিত ক ডি’কক বো রাবাডা ১৪, পূজারা ক ডু’প্লেসি বো রাবাডা ৫৮, কোহলি ব্যাটিং ৬৩, রাহানে ব্যাটিং ১৮, অতিরিক্ত ১২। মোট ২৭৩ (৩ উইকেটে ৮৫.১ ওভারে)। উইকেট পতন: ১-২৫, ২-১৬৩, ৩-১৯৮। বোলিং: ফিল্যান্ডার ১৭-৫-৩৭-০, রাবাডা ১৮.১-২-৪৮-৩, নর্তজে ১৩-৩-৬০-০, কেশব ২৯-৮-৮৯-০, মুথুসামি ৬-১-২২-০, এলগার ২-০-১১-০।