বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ওপেনিং জুটির সমস্যা মেটায় বেশ স্বস্তিতে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। রহিত শর্মা প্রথমবার টেস্টে ওপেন করতে নেমে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এতদিন তিনি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় টেস্ট দলে পায়ের তলার জমি শক্ত করতে পারেননি। কিন্তু ওপেনার হিসাবে রহিত দুরন্ত সূচনা করলেন। এই সাফল্য ধরে রাখতে পারলে তাঁর টেস্ট কেরিয়ার আরও দীর্ঘায়িত হবে। ফর্মে ফিরেছেন মায়াঙ্ক আগরওয়ালও। বিশাখাপত্তনম টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি ডাবল-সেঞ্চুরি করেছিলেন। ঘরের মাঠে টেস্টে ওটাই ছিল মায়াঙ্কের প্রথম টেস্ট শতরান। চেতেশ্বর পূজারার ব্যাটে অনেকদিন ধরেই রানের খরা চলছিল। সেটা তিনি গত ম্যাচে কাটিয়ে উঠতে সফল হয়েছেন। পূজারার রানে ফেরা ভারতীয় ব্যাটিংকে আরও অক্সিজেন জোগাচ্ছে। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি কিছুদিন আগেই স্মিভ স্মিথের কাছে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থান হারিয়েছেন। দু’জনের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধানও বেড়েছে। কোহলি নিশ্চয়ই চাইবেন বেশ কয়েকটি নজরকাড়া ইনিংস খেলে হারানো সিংহাসন ফিরে পেতে।
মিডল অর্ডারে ভারতের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানে ও হনুমা বিহারি। দু’জনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভালো পারফর্ম করেছিলেন। যদিও সেই সাফল্য তাঁরা ধরে রাখতে পারেননি দেশের মাটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে রাহানে ও বিহারি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টে দু’জনের উপরই বাড়তি নজর থাকবে। উইকেটের পিছনে দায়িত্ব সামলাবেন ঋদ্ধিমান সাহা। তবে টেস্ট দলে জায়গা ফিরে পেতে ঋষভ পন্থ তাঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। ঋদ্ধি দুর্দান্ত কিপিং করলেও চোটের কারণে বহুদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। ফলে ফর্ম ফিরে পেতে তাঁর আরও সময় লাগবে। একই সঙ্গে বাংলার উইকেটরক্ষকের আরও নজর দেওয়া দরকার ব্যাটিংয়ের দিকে।
দুই পেসার ও দুই স্পিনার হিসাবে প্রথম একাদশে থাকবেন ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সামি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে অশ্বিন সাতটি উইকেট নিয়েছিলেন। জাড্ডু দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছিলেন চারটি উইকেট। ঘরের মাঠে পছন্দের পিচে এই স্পিন জুটি বরাবরই সফল। এবারও তার ব্যতিক্রম চোখে পড়ছে না। তবে অশ্বিন অনেকদিন টেস্ট দলের বাইরে ছিলেন। ফলে খিদেটা তাঁর একটু বেশি মনে হচ্ছে। পুরানো বলে মহম্মদ সামি সব সময় বিপজ্জনক। তার প্রমাণ পেয়েছে প্রোটিয়া বাহিনী। তাই ফাফ ডু’প্লেসিরা অবশ্যই সামিকে সামলানোর তালিম নিয়েই মাঠে নামবেন।
সিরিজে সমতা ফেরানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেক্ষেত্রে প্রোটিয়া বাহিনীর বোলারদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। কাগিসো রাবাদার সঙ্গে এই ম্যাচে পেসার লুঙ্গি এনগিডির খেলার সম্ভাবনা প্রবল। গত ম্যাচে বেশ ভালোই বল করেছিলেন ফিলান্ডার। স্পিনার কেশব মহারাজ ও মুথুস্বামীর পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করবে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ ভাগ্য। তবে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং বেশ শক্তিশালী। আইডেন মার্করাম, ডিন এলগার, টেম্বা বাভূমার পাশাপাশি কুইন্টন ডি’কক, ফাফ ডু’প্লেসির মতো সিনিয়র ক্রিকেটারও রয়েছেন, যাঁরা ভারতীয় বোলিংকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।
ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় সকাল ৯-৩০ মিনিটে।