নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা লিগে ১৯৬৮ সালে ইস্ট বেঙ্গল ওয়াকওভার দিয়েছিল মোহন বাগানকে। সেবার শেষ পর্যন্ত আদালতে গিয়েছিলেন জেসি গুহ। কোর্টের নির্দেশে আইএফএ কোনও দলকেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ঘোষণা করেনি। যার অর্থ, ৫১ বছর পর কলকাতা লিগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দল নামাল না ইস্ট বেঙ্গল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহন বাগান গত ২৫ বছরে অনেক ম্যাচে ওয়াকওভার দিয়েছে। ২০১১ সালে ডার্বিতে মাঝপথে দল তুলে নিয়েছে বড় ব্যবধানে হার এড়াতে। আইএফএ‘র প্রাক্তন সচিব উৎপল গাঙ্গুলির ইস্ট বেঙ্গল প্রীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ২০১৭ সালের কলকাতা লিগের ডার্বিতে ওয়াকওভার দিয়েছিল সবুজ-মেরুন। তখন ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকরা মেরিনার্সদের তির্যক উক্তিতে ভরিয়ে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার কল্যাণীতেই দেখা গেল উল্টো চিত্র। অনেকের ধারণা, কাস্টমসের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার দলের বিরুদ্ধে সাত গোলে জেতা সম্ভব ছিল না আলেজান্দ্রো-ব্রিগেডের পক্ষে। প্রতিপক্ষ টালিগঞ্জ অগ্রগামী, জর্জ টেলিগ্রাফ, বা কালীঘাট এম এসের মতো কার্যত পারিবারিক দল হলে ইস্ট বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাত। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, লিগ শেষ না হওয়ার আগে স্পেনে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক কাজ করেননি কোচ আলেজান্দ্রো। সুব্রত ভট্টাচার্য হয়তো ঠিকই বলেছেন,‘ ম্যাচে না থেকে যে কোচ দেশে পালিয়ে গেলেন তাঁকে আর ফিরিয়ে আনা উচিত নয়। ওঁর কোচিংয়ে নতুন কিছু পেলাম না।’ বৃহস্পতিবার কাস্টমসের দুই কোচ খেলোয়াড়দের নিয়ে যথা সময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন কল্যাণীতে। ম্যাচ কমিশনার বিকাশ মুখার্জি ও আইএফএ’র বিশেষ পর্যবেক্ষক পঞ্চানন দত্ত ৩২ মিনিট অপেক্ষা করেন ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের জন্য।
বিকাশ মুখার্জি জানান,‘ইস্ট বেঙ্গল টিম লিস্ট জমা দেয়নি। সন্ধ্যাতেই আইএফএ’তে রিপোর্ট জমা দিয়েছি।’ আইএফএ সচিব জানান,‘ ইস্ট বেঙ্গলের মতো ক্লাব যেভাবে বৃহস্পতিবার ওয়াকওভার দিল তা বাংলার ফুটবলের পক্ষে ভালো বিজ্ঞাপন নয়।’
কলকাতা লিগে ইস্ট বেঙ্গল শেষ পযন্ত ১১ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট পেয়ে গোল পার্থক্যে তৃতীয় হল। শতবর্ষের পারফরম্যান্সের নিরিখে যা সত্যিই হতাশজনক। এর আগে রজত জয়ন্তী, সুবর্ণ জয়ন্তী এবং প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীতে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।