বিশাখাপত্তনম, ৩ অক্টোবর: টেস্টে প্রথম দ্বিশতরানের স্বাদ পেয়ে আপ্লুত মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের খেলার পর এই প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ব্যাটসম্যানটি বলেন, ‘অনুভূতি প্রকাশের ভাষা আমার অভিধানে নেই। জীবনে প্রথম শতরানকে এভাবে ডাবল করতে পেরে আমি খুশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। শুধু আমি নই, রহিত শর্মাও দারুণ ব্যাট করেছে। ওর সঙ্গে জুটি বেঁধে আমরা প্রতিপক্ষ বোলিংকে মাথা তুলতে দিইনি। লক্ষ্য ছিল, পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাট করা। ক্রিজে রহিতের পরামর্শ আমায় সমৃদ্ধ করেছে। স্পিনারদের যেভাবে ও আক্রমণ করেছে তা উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে দেখার আনন্দই আলাদা। সত্যি কথা বলতে কী, এই পিচ একেবারেই পেসারদের সহায়ক নয়। দিনের শুরুতে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে কয়েকটি বল স্যুইং করলেও তা আমাদের প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। পরে রোদ উঠতে উইকেট পুরোপুরি ব্যাটসম্যান সহায়ক হয়ে ওঠে। আমি আর রহিত মনের সুখে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। কোনও চাপ ছিল না আমাদের উপর। তবে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বল নীচু হচ্ছিল। চা-বিরতির পর স্পিনাররা ফয়দা তুলতে শুরু করে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা, দু’জনেই উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলেছে। তৃতীয় দিনের শুরুতে পরিকল্পিত বোলিং করতে পারলে ম্যাচ পুরোপুরি ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলেই মনে হয়।’
স্কোরবোর্ড: প্রথম ইনিংসে ভারত – মায়াঙ্ক ক পিয়েট ব এলগার ২১৫, রহিত স্ট্যাম্প ডি’কক ব মহারাজ ১৭৬, চেতেশ্বর পূজারা ব ফিল্যান্ডার ৬, বিরাট কোহলি ক ও ব সেনুরান ২০, রাহানে ক বাভুমা ব মহারাজ ১৫, রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত ৩০, হনুমা বিহারি ক এলগার ব মহারাজ ১০, ঋদ্ধিমান ক সেনুরান ব পিয়েড ২১, অশ্বিন অপরাজিত ১। অতিরিক্ত ৮, মোট ১৩৬ ওভারে ৭ উইকেটে ৫০২।
উইকেট পতন: ৩১৭-১, ৩২৪-২, ৩৭৭-৩, ৪৩১-৪, ৪৩৬-৫, ৪৫৭-৬, ৪৯৪-৭।
বোলিং: ফিলান্ডার ২২-৪-৬৮-১, রাবাদা ২৪-৭-৬৬-০, মহারাজ ৫৫-৬-১৮৯-৩, পিয়েট ১৯-১-১০৭-১, সেনুরান ১৫-১-৬৩-১, ডিন এলগার ১-০-৪-১। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা – ডিন এলগার ব্যাটিং ২৭, মার্করাম ব অশ্বিন ৫, ডি’ব্রুইন ক ঋদ্ধিমান ব অশ্বিন ৪, ডেন পিয়েট ব জাদেজা ০, টেম্বা বাভুমা ব্যাটিং ২। অতিরিক্ত ১, মোট ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৯। উইকেট পতন: ১৪-১, ৩১-২, ৩৪-৩। বোলিং: ঈশান্ত ২-০-৮-০, সামি ২-২-০-০, অশ্বিন ৮-৪-৯-২, জাদেজা ৮-১-২১-১।