কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত রবিবার মাঠে জোয়ারের জল ঢুকে পড়ায় পরিত্যক্ত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল-কাস্টমস ম্যাচ। লাল হলুদ কর্তারা সঙ্গে সঙ্গে রিপ্লে’র দিন জানতে চেয়ে আইএফএ’কে চিঠি পাঠান। কিন্তু তার উত্তর আসে মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ। ইস্ট বেঙ্গলের অভিযোগ, কেন এত দেরি করল আইএফএ? বঙ্গীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা পাল্টা জানায়, ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রচলিত রীতি মেনে রিপ্লে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কল্যাণীতে ম্যাচ আয়োজনের জন্য পুলিসি অনুমতি পেতেও সময় লেগেছে।
বুধবার আইএফএ’র চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত দুই তরফের মধ্যে কথা বলে ইস্ট বেঙ্গলকে ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করেন। তবে তাঁর এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ। এরপর ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার চিঠি দিয়ে আইএফএ’কে জানিয়ে দেন, দল কল্যাণী খেলতে যাচ্ছে না। হঠাৎ বুধবার মধ্যরাতে হল একপ্রস্ত নাটক। ইস্ট বেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তা নিউটাউনে থাকা সাত ফুটবলারের সঙ্গে অ্যাকাডেমির তিন ফুটবলারকে কল্যাণী পাঠিয়ে ম্যাচটি খেলার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালান। বৃহস্পতিবার সকালে কল্যাণীতে দল নিয়ে রওনা হওয়ার জন্য বুধবার বেশি রাতে বাস্তব রায় ও অভ্র মণ্ডলকে মেসেজ করা হয়। কিন্তু এদিন সকালেই কলকাতা ছাড়েন আলেজান্দ্রো। তাঁর রোষে পড়ার ভয়ে অভ্ররা দল নিয়ে কল্যাণী যেতে চাননি। তিন জুনিয়র ফুটবলার চুক্তি বাতিলের ভয়ে খেলার ঝুঁকি নেননি। সাবেক কর্তাদের কথা শুনলেন না ক্লাবের নথিভুক্ত ফুটবলাররা, এমন লজ্জাজনক ঘটনাও ঘটল শতবর্ষে। ইস্ট বেঙ্গলের কর্তারা বলছেন, ‘বেশ কিছু প্রাক্তন ফুটবলার আর সমর্থকদের একটি বড় অংশের কথা ভেবেই শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করেছিলাম আমরা।’ দেখা যাচ্ছে, সেই চেষ্টাতেই কোয়েস ও ইস্ট বেঙ্গলের সম্পর্কের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ল। ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল ক্লাবের ইমেজ। গত এপ্রিলে এই দুই গোষ্ঠীর ঝামেলায় সুপার কাপ বয়কট করে মোটা জরিমানার সামনে পড়েছিল লাল হলুদ। বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে কল্যাণীতে ইস্ট বেঙ্গল ওয়াকওভার দিল কাস্টমসকে। ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে ৬১ বছর পর কলকাতা লিগ নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পেল পিয়ারলেসকে।
এদিকে, সমর্থকরাও এই ইস্যুতে একাধিক ভাগে বিভক্ত। সোশাল মিডিয়ায় কোয়েস এবং সাবেক কর্তা পন্থী অনুরাগীরা এই প্রসঙ্গে একে অপরকে দুষছেন। কখনও কখনও যা ছাড়িয়ে যাচ্ছে শালীনতার মাত্রাও।