বিশাখাপত্তনম, ২ অক্টোবর: মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে কেরিয়ার শুরু করে সফল ওপেনার হয়ে ওঠার কাহিনী নতুন নয়। অস্ট্রেলিয়ার সাইমন কাটিচ হোক কিংবা শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশন, তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। সেই তালিকায় নব সংযোজন রহিত শর্মা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ওপেন করতে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ‘হিটম্যান’। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির আস্থার প্রতি পূর্ণ মর্যাদা রাখলেন মুম্বইকর। তিনি মনে করিয়ে দিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগের কথা। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সময়কালে মিডল অর্ডার থেকে বীরেন্দ্র সেওয়াগকে তুলে আনা হয়েছিল ওপেনার হিসাবে। বাকিটা ইতিহাস। একের পর এক রেকর্ড গড়েছিলেন বীরু। প্রথমবার টেস্টে ওপেন করতে নেমেই রহিতও সাড়া জাগানো ব্যাটিং করেছেন। তাঁর মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক। রহিত স্পর্শ করলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অনন্য নজির। ঘরের মাঠে ব্র্যাডম্যানের ব্যাটিং গড় ছিল ৯৮.২২। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ৫০টি ইনিংসে ৪৩২২ রান করেছিলেন। রহিত ১৫টি ইনিংসে ঘরের মাঠে টেস্টে করলেন ৮৮৪ রান। তবে তাঁরও ব্যাটিং গড় ৯৮.২২। দিনের শেষে রহিত বলেন, ‘প্রাপ্ত সুযোগ আমি কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল, ওপেনার হিসাবে আমি সাফল্য পাব। আমি যে রান করতে পারি, তা প্রমাণ করতে পেরে খুশি। লাল বলে ইনিংসের শুরুতে বল অনেক বেশি মুভ করে। তাই প্রথম দিকে একটু ধরে খেলাই ছিল আমার লক্ষ্য। দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের হয়ে খেলছি। তাই পিচ ও পরিবেশ সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা রয়েছে। আমার বিশ্বাস ছিল, দশটা ওভার কাটিয়ে দিতে পারলে এই উইকেটে বড় রান করা সম্ভব। বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। এরকম পিচে রান করা যতটা সহজ, উইকেট নেওয়া ততটাই কঠিন কাজ।’
রহিতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্রিকেট দুনিয়া। প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিং বলেছেন, ‘দুরন্ত সেঞ্চুরি। জার্সির রং নীল থেকে সাদা হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে না। রোহিত হিট।’ আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রহিত। বাকি সময়টা তেমন ভালো যায়নি। তবে ওপেনার হিসাবে রহিত কিন্তু সুযোগটা দারুণ কাজে লাগাল।’