বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
২০১৮ সালের জানুয়ারি। কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলার সময় কাঁধে চোট পেয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। যার ফলে মাঝপথেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। আইপিএলের সময় সুস্থ হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু ফের আঙুলে চোট লাগায় ঋদ্ধির ক্রিকেট কেরিয়ার ঘিরে তৈরি হয়েছিল সংশয়। অনেকেই ভেবেছিলেন, ময়দানের পাপালির পক্ষে আর হয়তো টেস্ট দলে ফেরা সম্ভব হবে না। কিন্তু লড়াই ছাড়েননি ঋদ্ধি। দীর্ঘ রি-হ্যাব, নিয়মিত অনুশীলন ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ প্র্যাকটিসের মাধ্যমে হারানো কক্ষপথে ফিরে আসেন বর্তমান ভারতীয় দলের একমাত্র বঙ্গসন্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াডে থাকলেও কোনও ম্যাচে তাঁকে খেলানো হয়নি। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে ক্যাপ্টেন কোহলি জানান, ‘ঋদ্ধি এখন পুরো সুস্থ। প্রথম টেস্টে ও খেলবে। ওর কিপিং দক্ষতা সবারই জানা। সুযোগ পেলেই ও ভালো কিছু করার চেষ্টা করেছে। চোট পেয়ে ও ছিটকে গিয়েছিল। সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালিস্ট উইকেটরক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে ঋদ্ধির কোনও বিকল্প হয় না। আমার মতে, বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আমরা ওকে ইচ্ছা করেই খেলাইনি। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছিল। থিতু হওয়ার সময় দিতে চেয়েছিলাম। এখন ও ফিট। ওকে সুযোগ না দিলে অন্যায় হবে। আমার মনে হয় ঋদ্ধির কামব্যাকের এটাই সেরা মঞ্চ। ও এই সুযোগ কাজে লাগাবে।’
প্রথম টেস্টে ঋদ্ধির পাশাপাশি নজর থাকবে রহিত শর্মার উপরেও। কারণ, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাফল্যের পর টিম ম্যানেজমেন্ট এবার ‘হিটম্যান’কে টেস্টে ওপেনার হিসাবে প্রোমোট করছে। রহিতের সঙ্গী হবেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তিন নম্বরে নামবেন চেতেশ্বর পূজারা। তবে ক্যারিবিয়ান সফরে তিনি বড় রান পাননি। তাই মঙ্গলবার অনুশীলনে কোচ রবি শাস্ত্রী নেটে তাঁর পিছনে দীর্ঘ সময় ব্যয় করেন। চারে বিরাট কোহলি ও পাঁচে অজিঙ্কা রাহানে ব্যাট করবেন। ছয়ে নামবেন হনুমা বিহারি। ব্যাটিং অর্ডারে টপ ও মিডল অর্ডারের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে কোহলিকেই। দুই স্পিনার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে দল সাজিয়েছে ভারত। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজাকেও খেলানো হচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে মোটেও হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। ফাফ ড’প্লেসির নেতৃত্বে প্রোটিয়া বাহিনী টেস্ট সিরিজে বড় চমক দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য আইদেন মার্করাম, ডিন এলগার, টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি’ককের মতো ব্যাটসম্যানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার পেস ব্যাটারি যথেষ্ট শক্তিশালী। কাগিসো রাবাডাদের পাশাপাশি স্পিনার হিসাবে কেশব মহারাজ ও ডেন পিয়েডের উপর নজর থাকবে। ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় সকাল ৯-৩০ মিনিটে