শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
শুক্রবার দুপুরে ময়দানে ক্যালকাটা ট্রাম কোম্পানির তাঁবুর সামনে দাঁড়িয়ে তীর্থঙ্কর বলছিলেন, ‘মেয়ে আমার জীবনের পুরোটা জুড়ে আছে। তাই মোহন বাগানকে হারিয়ে যাবতীয় বঞ্চনার জবাব দেওয়ার পারফরম্যান্স ওকেই উপহার দিলাম। গতবার খালিদ জামিল কোচ হয়ে আসার পর কোনও কারণ না দেখিয়েই আমাকে ছেড়ে দেওয়া হল। মিনি ডার্বি খেলতে নামার আগে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, মোহন বাগানকে হারিয়েই মাঠ ছাড়ব। গোল করেছি, গোল করিয়েছি। তার থেকেও বেশি আনন্দ পেয়েছি ম্যাচটা জিতে।’
লিগের হেভিওয়েট ম্যাচ খেলার পরদিনই দুপুরে ওয়াইএমসিএ মাঠে কর্মস্থল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের হয়ে লক্ষ্মীবিলাস কাপের ফাইনাল খেললেন তীর্থঙ্কর। অফিস দলে তাঁর সতীর্থ মোহন বাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। বৃহস্পতিবার যাঁকে টপকে তীর্থঙ্কররা তিনটি গোল করেছেন। সেই দেবজিতের চোখমুখে হারের রেশ স্পষ্ট। সোনালি-কালো চুলে হাত বোলাতে বোলাতে তীর্থঙ্করের বক্তব্য, ‘খেতাব জয়ের সম্ভাবনা আমাদেরও রয়েছে। পিয়ারলেস ও ইস্ট বেঙ্গল ম্যাচ জিততে পারলে অনেক কিছু বদলে যাবে। সোমবার পিয়ারলেসের হয়ে খেলতে পারবে না ক্রোমা। এটা আমাদের কাছে অ্যাডভান্টেজ।’ শোনা যাচ্ছে, ইস্ট বেঙ্গল অফার দিতে পারে তীর্থঙ্করকে। ২০০৯ সাল থেকে ভারতীয় ফুটবলের মূলস্রোতে রয়েছেন বেলঘরিয়া তিন নম্বর গেটের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবারের ম্যাচই তাঁর জীবনের সেরা ম্যাচ। কাছাকাছি রাখছেন ২০১৭ সালে সন্তোষ ট্রফির ফাইনাল। বাংলা সেবার রানার্স হয়েছিল রঞ্জন চৌধুরির কোচিংয়ে। তীর্থঙ্কর নিজেকে এআইএফএফের ডেভলপমেন্ট টিম ইন্ডিয়ান অ্যারোজের প্রোডাক্ট বলেই মনে করেন। সেইসময় অ্যারোজের কোচ ছিলেন কলিন টোল।
এবার মহমেডানে ফুটবল উপভোগ করছেন তীর্থঙ্কর। বললেন, ‘দীপুদা (দীপেন্দু বিশ্বাস) আমার খেলাটা বুঝেছেন। মাঝমাঠে অনেকটা ফ্রি-জোনে আমাকে খেলাচ্ছেন। যেখানে আমি খেলতে পছন্দ করি।’ সেটপিসে দক্ষতা প্রসঙ্গে তাঁর বিশ্লেষণ,‘বেলঘরিয়া স্যান্টোসের মাঠে ছোটবেলার কোচ তরুণ নাগ আমাকে আলাদা সেটপিস প্র্যাকটিস করাতেন। এছাড়া ক্লাবে আমি আলাদা ভাবে অনুশীলন সারি।’
শুক্রবার অফিসের হয়ে খেলতে নামার আগে তীর্থঙ্কর কাফ মাসল ও হ্যামস্ট্রিংয়ে বেশ কিছুক্ষণ ম্যাসাজ নিলেন। বললেন, ‘আমি বরাবর বাঁ পায়ে জোরালো শট নিতে পারি। যার জন্য অবিরত পায়ের মাসলের পরিচর্যা করতে হয়।’ মেসি তাঁর পছন্দের ফুটবলার। ভারতীয়দের মধ্যে ভালো লাগত রেনেডি সিংয়ের খেলা। ফুটবলার হলেও তীর্থর চেহারা বেশ ভারি। কেন? বললেন, ‘একসময় চোট লাগার পর স্টেরয়েড নিয়েছিলাম। যার ফলে ভারি হয়ে গিয়েছি। ডায়েট চার্ট মেনে চলি। বড় অসুখও নেই। কোনও অসুবিধা হয় না। এই ভাবেই আরও বেশ কিছু বছর খেলে যেতে চাই।’