শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
আলেজান্দ্রোর জিপিএস আরও বেশি উন্নত। এই জন্যই তিনি মারিওকে না এনে জোসেফ ফেরেকে এনেছেন নতুন মরশুমে। অনুশীলনে খেলোয়াড়দের জার্সির নীচের ইনারে থাকে চিপ। ভারতীয় শিবিরে এই চিপ রাখার জন্য স্টিভন আবার সুনীল-সন্দেশদের পরাতেন বিশেষ জ্যাকেট। সাইড লাইনের ধারে একটি ল্যাপটপে জিপিএস থেকে তথ্য ‘ট্র্যাক’ করা হয়। এর জন্য পৌনে দুই লাখ টাকার ল্যাপটপ কিনেছে কোয়েস। আলেজান্দ্রোর চাহিদা মতো তাঁর রাজারহাটের ফ্ল্যাটে চারটি ল্যাপটপ রয়েছে। জিপিএসের জন্য নির্ধারিত ল্যাপটপটি ছাড়া বাকিগুলির দাম এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজারের মধ্যে। ‘আলে স্যার’ কিন্তু মরগ্যানের মতো সন্ধ্যার পর নিয়মিত কোনও রেস্তোরাঁয় বাছাই করা খেলোয়াড়দের নিয়ে মিটিং করেন না। করিমের মতো বিভিন্ন শপিং মলে ঘুরে বেড়ান না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ঘণ্টা টিমের ফুটবলারদের জিপিএসের মাধ্যমে সংগ্রহীত তথ্যের বিশ্লেষণ আর আন্তর্জাতিক ফুটবলের আপডেট নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। যাবতীয় রিল্যাক্স করেন ফ্ল্যাটেই, ফিজিও কার্লোস ও সহকারী কোচ তথা ভিডিও অ্যানালিস্ট জোসেফদের সঙ্গে। এত কাটাছেঁড়ার পরেও কেন এই হতশ্রী পারফরম্যান্স লাল-হলুদের? ইস্ট বেঙ্গল মাঠ না হয় খারাপ, কিন্তু যুবভারতী কিংবা কল্যাণীর মাঠ তো ভালো ছিল।
ইস্ট বেঙ্গলের বিদেশিদের জন্য নিউটাউনের পাঁচতারা আবাসনে রয়েছে পৃথক ফ্ল্যাট। মুক্ত বাতাস পেলে ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা বাড়বে বলে প্রত্যেকেরই ফ্ল্যাট সাত-আট তলায়। পিন্টু মাহাতা, প্রকাশ সরকার, শুভ্রনীল ঘোষদের মতো স্থানীয় ছেলেরা গত তিন মাসে তিন দিন বাড়ি গিয়েছেন। ভিনরাজ্যের ফুটবলাররা ফ্ল্যাটেই আছেন। কার্লোসের তৈরি করে দেওয়া ডায়েট চার্ট ছাড়া স্বদেশি-বিদেশিরা কিছুই খেতে পারেন না। বডি ওয়েট নেওয়া হয় প্রতিদিন। এর পরেও কেন যন্ত্রণাদায়ক ফুটবল?