নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা লিগের খেতাবি দৌড় জমজমাট। লিগ টেবলে সাপ-লুড়োর দৌড় যত বাড়ছে, ততই নাভিশ্বাস উঠছে সিআরএ শীর্ষ কর্তাদের। ময়দানের বেশ কিছু দল সরাসরি তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করে বলছেন, ‘এই ম্যাচে অমুককে পোস্টিং দেবেন না। তমুককে দিন। উনি লাকি।’ লিগে একটি রাজনৈতিক নেতাদের দল বেড়ে যাওয়ায় এই প্রবণতা আরও বেড়েছে।
চাকরি নিয়ে শিলিগুড়ি গিয়েছেন কলকাতার একমাত্র ফিফা রেফারি প্রাঞ্জল ব্যানার্জি। লিগের প্রথম দিকে কিছু ম্যাচ তিনি খেলিয়েছিলেন। এই সব দেখে তিনি চিঠি দিয়ে সিআরএ’কে জানিয়ে দিয়েছেন, লিগের আর কোনও ম্যাচ খেলাবেন না। ফিফা প্যানেলে থাকা অপর দুই সহকারী রেফারি অসিত সরকার ও সমর পালও ই- মেল পাঠিয়ে সিআরএ’কে জানিয়ে দিয়েছেন, ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁরা লিগের ম্যাচ খেলাতে পারবেন না ব্যক্তিগত কারণে। তাই চিত্তরঞ্জন দাস মজুমদার-দেবাশিস মিশ্রর মতো যে সমস্ত প্রাক্তনরা পোস্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত তারা বেশ সমস্যায়। পরিস্থিতি এমনই জটিল যে রবিবার তৃতীয় ডিভিসনে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স ও সুরুচি সংঘের চ্যাম্পিয়ন নির্ধারক ম্যাচে রঞ্জিত বক্সির মতো পরিচিত রেফারিকে পাঠাতে বাধ্য হতে হয়েছে। মোহন বাগান মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে কালীঘাট স্পোর্টস লার্ভাস ৩-০ গোলে সুরুচিকে হারিয়ে তৃতীয় ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১১ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট পেয়েছে কালীঘাট। মাঠে উপস্থিত ছিল বেশ কিছু দর্শক। রঞ্জিত বক্সির মতো অভিজ্ঞ রেফারি থাকায় উত্তেজনা থাকলেও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। হেরে হাওড়া মানিকতলার সঙ্গে রানার্স হওয়ার দৌড়ে সুরুচি সংঘ। রঞ্জিত বক্সির মতো অভিজ্ঞকে তৃতীয় ডিভিসন ম্যাচ করতে দেওয়ায় আজ ইস্ট বেঙ্গল- ভবানীপুর ম্যাচে রেফারি কে হবেন তা নিয়ে সিআরএ সমস্যায়। তন্ময় ধর রবিবারই মোহন বাগান-রেনবো ম্যাচে রেফারিং করায় খুব বেশি অভিজ্ঞ রেফারি সিআরএ’র হাতে নেই। সোমবারের অন্যতম খেতাব নির্ধারক ম্যাচে রেফারিং তাই বড় ফ্যাক্টর। এরই মধ্যে ক্রীড়ামন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দুটি মিনি ডার্বিতে ভিনরাজ্যের রেফারি আনতে হবে। পুজোর মুখে চার বছরের বকেয়া পেলেও যা শুনে সিআরএ রেফারিদের মন ভেঙে গিয়েছে।