রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ক্রোমা তখন বলছেন,‘বড় ক্লাব এখন আফ্রিকানদের দিকে তাকাচ্ছে না। এখন স্প্যানিশদের নিয়ে মজেছে। তাই বাড়তি তাগিদ ছিল। রবিবার খড়গপুর যাওয়া নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কোচ- কর্তারা সবই জানেন। খেলার পর কোলাডো-বোরহা যেভাবে আমাদের দিকে তেড়ে এল সেটা দেখে আমি দুঃখিত। এটা খেলোয়াড়ি মানসিকতা নয়। এর আগে ইস্ট বেঙ্গল আমাকে রাখেনি। তবে লাল হলুদ জার্সি পরে খেলেছি তো। তাই গোল করে কোনও সেলিব্রেশন করিনি। এই সম্মান তো সমর্থকদের কাছ থেকেও পাওয়া উচিত। কিন্তু সমর্থকরা আমার বাবা-মা’র নামে অশ্রাব্য গালিগালাজ দিল। এতে আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। মোহন বাগান জনতা অবশ্য আমাকে হাততালি দিয়ে উৎসাহিত করেছিল। এই জয়ের পর লিগ টেবলে আমরা ভালো জায়গায় রইলাম। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যাবতীয় মশলা মজুত আছে দলে। তবে আগামী ম্যাচে হলুদ কার্ডের জন্য আমাদের দু’জন খেলতে পারবে না।’
জহর দাস বললেন,‘কোলাডো,বিদ্যাসাগরদের প্রথম একাদশে না দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। এতে আমাদের সুবিধা হয়েছিল।’ জহর দাস ময়দানে প্রায় ২৭ বছর কোচিং করছেন। মোহন বাগানের কোচ ছিলেন দুই দফায়। লাজং এফ সি’কে তুলেছিলেন ফেড কাপে। তিনি জানতেন ৬০ মিনিটের পর কোলাডো ও বিদ্যাসাগর নামবেন। তাই পঙ্কজ মউলা ও লক্ষ্মীকান্ত মান্ডিকে নামিয়ে তিনি ইতিবাচক লড়াইটি পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাই ম্যাচের পর তৃপ্ত জহর বললেন,‘আমরা পাল্টা আক্রমণে যাওয়ায় ইস্ট বেঙ্গলের দুটি পরিবর্তন কাজে দেয়নি। আমরা ৩-১ গোলে ম্যাচটি জিততে পারতাম। পেনাল্টি দেওয়ার সময় জানতাম ক্রোমা গোল করবে। ও দারুণ পেনাল্টি মারে। আমি প্র্যাকটিসের পর প্রতিদিন ওকে দিয়ে পেনাল্টি প্র্যাকটিস করাই।’ উল্লেখ্য, লিগে পিয়ারলেসের ১৭টি গোলের মধ্যে ক্রোমা গোল করেছেন ৯টি। এর মধ্যে পেনাল্টিতে গোল দুটি। লিগে এখনও কোনও পেনাল্টি মিস করেননি ক্রোমা।
চমৎকার ছন্দে থাকলেও এখন কেন নিয়মিত খেপ খেলেন ক্রোমা? খেপ খেলা নিয়ে ক্রোমার স্ত্রী পূজা বলেন,‘কলকাতার দুই প্রধান তো ক্রোমার মূল্যায়ণ করতে পারল না। পিয়ারলেসের সঙ্গে চুক্তি তো চার মাসের। বাকি ছ’মাস চলবে কী করে?