ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সব কিছু ঠিক থাকলে আরও দশ মাসের জন্য সিএবি’র সভাপতি পদে বসতে চলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কমিটি তিন বছরের জন্য গঠিত হলেও সৌরভ কতদিন সভাপতি পদে থাকতে পারবেন? বোর্ডের নতুন গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি (সিএবি-বোর্ড) সব মিলিয়ে সর্বাধিক ন’বছর ও একটানা ছ’বছর পদে থাকতে পারবেন। তারপর তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতেই হবে। ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ধরলে সচিব ও সভাপতি হিসাবে সৌরভ পাঁচ মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত করে ফেলেছেন। তাই নিয়ম মেনে সৌরভ গাঙ্গুলিকে পরের বছর আগস্টে সভাপতির পদ ছাড়তে হবে, যদি শেষ মুহূর্তে স্পোর্টস কোড চালু হয় কিংবা সুপ্রিম কোর্ট কুলিং অফ নিয়ে নতুন রায় দেয়। আইপিএলে সৌরভ গাঙ্গুলি দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টরও। বোর্ডের নতুন সংবিধানে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি এক পদে থাকতে পারবেন। তাহলে সৌরভ কি দিল্লি ক্যাপিটালসের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন? সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সিএবি সভাপতি পদকেই পাখির চোখ করেছেন মহারাজ। ২২ অক্টোবর বিসিসিআই নির্বাচন। বোর্ড সভাপতি হওয়ার দৌড়েও আছেন মহারাজ। তিনি যদি বোর্ড সভাপতি হয়ে যান, তাহলে ছবি অনেকটাই বদলে যাবে। সেক্ষেত্রে বিসিসিআই যদি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের নির্দেশ মেনে স্পোর্টস কোড চালু করে, তখন আর কুলিং অফে যেতে হবে না সৌরভকে। সিএবি’র এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘দাদা ক্রিকেট জীবনে অনেক কঠিন পিচে ব্যাট করে দলকে জিতিয়েছেন। আমার মনে হয়, এই লড়াইটাই আইনের দিক থেকে তাঁর কাছে বেশ কঠিন। তবে এখনই কোনও অঙ্ক কষা ঠিক হবে না। সেটা ভুলও হতে পারে।’ সৌরভকে যদি বর্তমান গঠনতন্ত্র মেনে সত্যিই সিএবি সভাপতি পদ ছাড়তে হয়, তাহলে পরবর্তী পরিকল্পনাও তৈরি রাখছে শাসকগোষ্ঠী। তারই অঙ্গ হিসাবে পাঁচ সদস্যের পদাধিকারীর তালিকায় নাম শোনা যাচ্ছে সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গাঙ্গুলিরও। সচিব পদে অভিষেক ডালমিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলাই যায়। তবে তাঁকেও দু’বছর পর কুলিং অফে যেতে হবে। কোষাধ্যক্ষ পদে দেখা যেতে পারে নরেশ ওঝাকে। কারণ, শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের পছন্দের প্রার্থী তিনি। সহ-সভাপতি ও যুগ্নসচিব পদের দাবিদার অনেকেই। তবে বিরোধী গোষ্ঠী এখন খুবই দুর্বল। ভোটাভুটি হলেও তারা সেভাবে হালে পানি পাবেন না। তাই সৌরভ গাঙ্গুলি যাঁদের বেছে নেবেন, তাঁরাই পদাধিকারী হবেন। সহ-সভাপতি পদে নাম শোনা যাচ্ছে বাবলু কোলে, সমর পালেরও। যুগ্মসচিব পদে প্রবীর চক্রবর্তীর সঙ্গে দেবাশিস গাঙ্গুলি, দেবব্রত দাসের নামও হাওয়ায় ভাসছে।
মোট ১৯ জন সদস্যকে নিয়ে হবে অ্যাপেক্স কাউন্সিল। যেখানে পাঁচজন পদাধিকারী ছাড়াও দু’জন প্রাক্তন ক্রিকেটার (পুরুষ ও মহিলা), একজন ক্যাগের সদস্য থাকবেন। বাকি ১১ জন নির্বাচিত হবেন। প্রথম দিকে মনে হয়েছিল, সিএবি’র দীর্ঘ বিলম্বিত নির্বাচনে ভোটাভুটি হবে না। কিন্তু ১২১টি ইউনিটের মধ্যে থেকে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের এগারজন সদস্যকে নির্বাচন নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটাভুটির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য হোক কিংবা জাতীয় দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। এবার তাই বাংলার পাঁচ সদস্যের নির্বাচক কমিটি গঠিত হবে বার্ষিক সাধারণ সভায়। যেখানে ১২১টি ইউনিটের প্রতিনিধি ও ১৮জন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা উপস্থিত থাকবেন। এই সিদ্ধান্ত এক কথায় নজিরবিহীন।