ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এই ব্যাপারে সেরেনাপ্রেমীদের স্বস্তি দিতে পারেন তাঁর কোচ প্যাট্রিক মৌরাতোগলু’র বক্তব্য। প্যাট্রিক বলেছেন, ‘মা হওয়ার পর এই ইউ এস ওপেনেই সেরা ফর্মে রয়েছে সেরেনা।’ মা হওয়ার পর ফিটনেস, ফোকাস ঠিক রাখতে না পারার জন্য টেনিস জীবনে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছেন সেরেনা। তবুও তিনি মা হওয়ার পর তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছেন।
এই মাসের শেষেই ৩৮ বছরে পা দিচ্ছেন সেরেনা। পুরুষ বা মহিলা বিভাগে ওপেন টেনিসের যুগে সবচেয়ে বয়স্ক প্লেয়ার হিসেবে সেরেনা গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের কাছাকাছি রয়েছেন। এই বয়সে এর আগে কোনও প্লেয়ার গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেতাব জেতেননি। ইউ এস ওপেনের ফাইনালে সেরেনার প্রতিপক্ষ ১৯ বছর বয়সী আন্দ্রেস্কু যখন জন্মেছেন, তখন সেরেনা জীবনের প্রথম খেতাব জিতে নিয়েছেন! তখন সালটা ১৯৯৯। সেই নিয়ে সেরেনা বক্তব্য, ‘এটাই খুব ভালো ব্যাপার। আমার টেনিস জীবনের সঙ্গে তুলনা করলে আন্দ্রেস্কুর মতো শিশু আজ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের প্রতীক্ষায়। ওকে স্বাগত জানাই। আমার দিন তো শেষ হয়ে গেল। আন্দ্রেস্কুর সামনে বিরাট ভবিষ্যত পড়ে রয়েছে। আমি তো এখন ফুল টাইম মাদার।’ সেরেনার কোচ অবশ্য আন্দ্রেস্কু নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, ‘আন্দ্রেস্কু ভবিষ্যতের একনম্বর প্লেয়ার।’
সন্তানের জননী হওয়ার পর বিশ্ব টেনিস সার্কিটে সেরেনার আগে আরও তিন প্লেয়ার মেজর খেতাব জিতেছেন। তাঁরা হলেন, মার্গারেট কোর্ট, ইভোনি গুলাগং ও কিম ক্লিস্টার্স। সেরেনার কোচ বলছেন, ‘মা হওয়ার পর একজন অ্যাথলিটের শারীরিক গঠন পুরোপুরি পাল্টে যায়। যদিও সেরেনার কোর্ট মুভমেন্ট আগের থেকে অনেক ভালো।’ ফিটনেস একদা সেরেনার সম্পদ ছিল। এখন সেই ফিটনেস নিয়ে ভাবতে হচ্ছে আমেরিকার মহাতারকাকে। কাঁধে মারাত্মক চোট নিয়ে ২০১৬ সালে রিও ওলিম্পিকসে খেলেছিলেন সেরেনা।