ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ফ্লাশিং মিডোয় ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা এবারও রয়েছেন দুরন্ত ছন্দে। আটকানোই যাচ্ছে না মার্কিনী তারকাকে। সেমি-ফাইনালে তাঁর পাওয়ার টেনিসের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইউক্রেনের পঞ্চম বাছাই খেলোয়াড় ভিটোলিনা। ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে মাত্র ৭০ মিনিট সময় নিয়েছেন সেরেনা। ইউএস ওপেনে এই নিয়ে দশবার ফাইনালে উঠলেন তিনি। টেনিসের ওপেন এরায় যে রেকর্ড আর কারও নেই। ২০ বছর আগে ঠিক এই মাসেই ১৭ বছর বয়সী সেরেনা কেরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছিলেন এই ইউএস ওপেনের মঞ্চে। ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে। ফাইনালে যাঁর সঙ্গে লড়বেন সেরেনা, সেই বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কুর জন্মই হয়নি তখনও। ১৯৬৮ সালের পর দুই ফাইনালিস্টের মধ্যে বয়সের এতো ব্যবধান দেখেনি বিশ্ব। দীর্ঘ প্রায় আড়াই দশকের টেনিস কেরিয়ারে মোট ৩৩ বার গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনালে উঠেছেন সেরেনা। শুধু তাই নয় এই সময়কালে মহিলাদের সিঙ্গল গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেতাবের ২৯ শতাংশই সেরেনা একা জিতেছেন। এমন কীর্তি খোদ রজার ফেডেরারেরও নেই!
তবে আন্দ্রেস্কুর বিপক্ষে সেরেনার জয় খুব একটা খুব একটা মসৃণ নাও হতে পারে। কানাডার ইতিহাসের প্রথম মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন আন্দ্রেস্কু। টানা ১২ ম্যাচ রয়েছেন অপরাজিত। কিছুদিন আগে এই কানাডিয়ান তরুণীর কাছে রজার্স কাপে হেরে বিদায় নিয়েছিলেন সেরেনা। তার চেয়ে বড় কথা ২০১৭ সালে সন্তানের জন্ম দিয়ে কোর্টে ফেরার পর একটিও গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতেননি বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর সেরেনা। তাই শনিবার সতর্কতার সঙ্গেই কোর্টে পা বাড়াবেন মার্কিনী তারকা। ভিটোলিনাকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছনোর পর মজার ছলে সেরেনা বলেন, ‘দুই বছরের মেয়ে যেভাবে আমাকে এদিক-ওদিক দৌড় করায় তার থেকে কোর্টে থাকা অনেক বেশি আরামপ্রদ। যদিও সেটাই আমাকে সাহায্য করেছে নিজের সেরা ফিটনেস কন্ডিশন ফিরে পেতে। আশা করি, ফাইনালেও এই ছন্দ বজায় রেখে ইতিহাস স্পর্শ করতে পারব।’