ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সুরজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল ১৫ বছর বয়সি এক সাঁতারু। কিশোরী সাঁতারুটির নালিশ, গত ছ’মাস ধরেই সুরজিৎ তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। শেষে নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী লুকিয়ে মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও করার কৌশল নেয়। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, ওই কোচ তাকে যৌন হেনস্তা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ভিডিও। পুরো ঘটনা উল্লেখ করে গোয়া পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই কিশোরী। তারই ভিত্তিতে সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে গোয়া পুলিস। অবস্থা বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত কোচ। পুলিসের সন্দেহ, তিনি সম্ভবত ভোপালে পালিয়েছেন। তবে বিশেষ দল পাঠিয়ে সুরজিৎকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিয়েছে গোয়া পুলিস।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্ত কোচের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমি কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযুক্ত সুরজিতের সঙ্গে ইতিমধ্যে চুক্তি বাতিল করেছে গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি আমি সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকেও নিশ্চিত করতে বলেছি যে, ও যেন ভারতের কোথাও চাকরি না পায়। এটা সমস্ত ফেডারেশন ও সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’ সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি দীগম্বর কামাথ বলেছেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অভিযুক্ত কোচের বিরুদ্ধে আমরা যথোপযুক্ত ব্যাবস্থা নেব।’ গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সইদ আব্দুল মজিদ জানিয়েছেন, ‘আড়াই বছর আগে আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সুরজিৎ। ট্র্যাক রেকর্ড দেখেই আমরা তাঁকে কোচের দায়িত্বে নিযুক্ত করেছিলাম। অতীতে ওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না।’