ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
(জেসুরাজ রোমারিও, নওরেম)
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত রবিবার ডার্বিতে ভালো খেলেও জয় অধরা থেকে গিয়েছিল মোহন বাগানের কাছে। বৃহস্পতিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে লিগ টেবলে দুই নম্বরে থাকা ভবানীপুরকে হারিয়ে জয়ে ফিরল কিবু ভিকুনার দল। পাসিং ফুটবলের ছোঁয়ায় মোহন বাগান লিগ খেতাবের লড়াইয়ে প্রবলভাবেই থেকে গেল। একটা সময়ে ব্রিটো-নাওরেম, মুনোজ, চামোরো সিলভারা নিজেদের মধ্যে ১২-১৩টি পাস খেলেছেন অনায়াসে। আবার কখনও ভবানীপুরের দ্বিস্তর রক্ষণ ভাঙতে লং বল নির্ভর ফুটবল খেলেছেন তাঁরা। এতগুলি ভালো দিকের মধ্যেও মোরান্তের দুর্বলতা রাণাঘাট, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, বড় জাগুলি থেকে আসা বেশ কয়েক হাজার দর্শকদের চিন্তায় রাখল। বৃষ্টি ভেজা মাঠ হয়তো মোরান্তের মতো নরম স্বভাবের স্টপারের খারাপ খেলার একটি দিক। কিন্তু ভবানীপুরের কামো যখনই আক্রমণে উঠলেই মোরান্তে বে-আব্রু হয়ে পড়েছেন। প্রথমার্ধে দুটি ক্ষেত্রে মোহন বাগানকে স্প্যানিশ ডিফেন্ডারটির ব্যর্থতা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন দেবজিৎ মজুমদার। আনন্দের দিনে মোরান্তের ব্যর্থতা নিয়ে তেমন চর্চা করতে রাজি নন মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা। তবে শেষ দশ মিনিট তিনি মোরান্তেকে বসিয়ে কিমকিমা ও শেখ সাহিলকে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে ব্যবহার করেন। অল-রাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন সাহিল।
বৃহস্পতিবার তিন পয়েন্ট পাওয়া জরুরি ছিল মোহন বাগানের। ভিপি সুহেরের চোট থাকায় বিদেশি কোটায় বেইতিয়াকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখে সালভা চামোরোকে নামান কিবু। বার তিনেক হেডে ভবানীপুরের দীর্ঘদেহী স্টপার ভিক্টর ক্যামেচাকে পরাস্ত করলেও গোল পাননি তিনি। চামারো সপ্রতিভ হলে মোহন বাগান প্রথম কুড়ি মিনিটের মধ্যেই গোল পেতে পারত। আশুতোষ মেহতা না থাকায় চুলোভাকে মরশুমে প্রথমবার রাইট ব্যাকে খেলানো হল। দেখা গেল, চুলোভা-ব্রিটোর মধ্যে একটি বোঝাপড়া গড়ে উঠছে। ব্রিটোকে রুখতে এদিন ব্যর্থ ভবানীপুরের লেফট ব্যাক তথা অধিনায়ক মুস্তফা আলি। মোহন বাগানের দু’টি গোলের আক্রমণ উঠে এসেছে ব্রিটোর পাস থেকেই। ২৯ মিনিটে ডানদিক থেকে ব্রিটোর কর্নার নওরেম গোলে ঠেলতে যান। ভবানীপুরের গোলরক্ষক সেই পুশ ধরতে পারেননি। রোমারিও জেসুরাজ সেই বল গোলে ঠেলে দেন (১-০)। ৫৭ মিনিটে রেফারি বিপ্লব পোদ্দারের একটি ভুল সিদ্ধান্তে ভবানীপুরের লড়াই শেষ হয়ে যায়। মমতাজ আখতারের একটি লব বক্সে উড়ে এলে ব্যাকভলি মারার চেষ্টা করেন অনুপ তেজেশরাজ। তাঁর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মোরান্তের। এই রকম সংঘর্ষ ফুটবল মাঠে প্রায় হয়। রেফারি অনুপকে হলুদ কার্ড দেখাতে পারতেন। কিন্ত হঠাৎ তিনি লালকার্ড দেখিয়ে দেন। পরের মিনিটেই ব্রিটো ও চামারো মারফত বল পেয়ে নাওরেম দারুণ ফিনিশ করেন (২-০)। চমৎকার পাসিং ফুটবলের নিদর্শন এই গোলটি। প্রতিপক্ষ দশজন হয়ে যাওয়ার পর বাকি ম্যাচে মোহন বাগানের প্রাধান্য ছিল। জেসুরাজের পরিবর্ত হিসাবে নেমে শুভ একটি চমৎকার শট নিয়েছিলেন, যা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের পর মোহন বাগান কোচ কিবু মেনে নেন, অনুপ লাল কার্ড দেখার মতো অফেন্স করেননি। রেফারি হলুদ কার্ড দেখাতেই পারতেন। ভবানীপুর কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী রেফারির তীব্র সমালোচনা করেন। কিবু রবিবার মোহন বাগান মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে খেলতে রাজি।