সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলে বিরাট কোহলি দারুণ ছন্দে রয়েছেন। সামান্য চোট থাকায় তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেননি। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঘিরে যথেষ্ট উত্তেজিত ভারত অধিনায়ক। এই টেস্ট জিততে পারলে আরও পালক যোগ হবে কোহলির মুকুটে। টেস্টে অধিনায়ক হিসাবে ২৭টি ম্যাচ জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির রেকর্ড স্পর্শের হাতছানি বিরাটের সামনে। আর একটি শতরান করলেই অধিনায়ক হিসাবে টেস্টে ১৯টি শতরানের মালিক রিকি পন্টিংকে ছুঁয়ে ফেলবেন কোহলি। স্বভাবতই স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন কোহলিই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচে বরাবরই অতিরিক্ত বাউন্স থাকে। তাই ক্যারিবিয়ান পেসারদের সামলাতে যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান পেয়েছেন। ফলে প্রথম একাদশ গড়তে কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন কোচ রবি শাস্ত্রী ও ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। চোট ও নির্বাসনের কারণে পৃথ্বী সাউ না থাকায় মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও লোকেশ ওপেন করতে পারেন। তবে হনুমা বিহারি প্রস্তুতি ম্যাচে রান পাওয়ায় তাঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, নতুন বলে হনুমার ডিফেন্স অনেক বেশি মজবুত। সেক্ষেত্রে লোকেশ রাহুলের জায়গায় তাঁকে খেলানোর কথা ভাবতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে অভিজ্ঞতার নিরিখে লোকেশের খেলার সম্ভাবনা বেশি। তিনে নামবেন চেতেশ্বর পূজারা। প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, ক্যারিবিয়ান বোলারদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য তিনি প্রস্তুত। চার নম্বরে বিরাট কোহলি ব্যাট করবেন। সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলি নিজের সেরাটা মেলে ধরতে সফল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঘিরে তিনি বেশ আবেগতাড়িত। কোহলি বলেছেন, ‘অনেকেরই ধারণা টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কমছে। এটা ঠিক নয়। গত দু’বছরে টেস্ট ক্রিকেটে লড়াই আরও বেশি কঠিন হয়েছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পর জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। ম্যাচ জেতার তাগিদ অনেক বেশি থাকবে।’
হার্দিক পান্ডিয়া না থাকায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বোলিং কম্বিনেশন ঠিক করতে গিয়ে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন। পিচে ঘাস থাকলে তিন পেসার খেলাতে পারে ‘টিম ইন্ডিয়া’। সেক্ষেত্রে ইশান্ত শর্মা, যশপ্রীত বুমরাহ ও উমেশ যাদব খেলবেন। দুই স্পিনার খেললে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গী হবেন কুলদীপ যাদব। প্রস্তুতি ম্যাচেও কুলদীপ দারুণ বল করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং লাইন-আপ যথেষ্ট শক্তিশালী। গ্র্যাব্রিয়েল, কেমার রোচের পাশাপাশি জ্যাসন হোল্ডারের মতো পেসার আছেন ক্যারিবিয়ান শিবিরে। সেকথা মাথায় রেখেই, ব্যাটিংকে আরও মজবুত করতে চান কোহলি। তবে অজিঙ্কা রাহানে না রহিত শর্মা, কাকে খেলানো হবে সেটাই দেখার। রাহানে দীর্ঘদিন বড় রান পাননি। রহিত টেস্ট দলে জায়গা মজবুত করতে চান। দু’জনেই খেলতে মরিয়া। তবে একজনই হয়তো খেলার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে রাহানের সম্ভাবনা বেশি। তবে দু’জনে খেললে ভারতকে চার বোলার নিয়ে মাঠে নামতে হবে। উইকেটকিপার হিসাবে ঋষভ পন্থের খেলার সম্ভাবনা বেশি। তবে ঋদ্ধিমান সাহার কিপিং অনেক ভালো। সেক্ষেত্রে বাংলার উইকেটরক্ষকটির প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা ড্যারেন ব্র্যাভো, রোস্টন চেজ, সাই হোপ, শিমরন হেটমায়ার। তবে এই টেস্টে রাখিম কর্নওয়াল খেলতে পারেন। দীর্ঘদেহী রাখিম অলরাউন্ডার হিসাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দাগ কেটেছেন। টেস্ট অভিষেকে তিনি কতটা সফল হন, সেটাই দেখার।
ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টায়।