হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এই পুরস্কার পাওয়ার খবর জানার পর শুক্রবার বজরং বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গণে গত দু’বছরে আমার থেকে বেশি সাফল্য আর কোনও ভারতীয় ক্রীড়াবিদের নেই। তাই যোগ্যতম রূপেই এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়েছি।’ এই মুহূর্তে বজরং বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য জর্জিয়ায় আলাদা ট্রেনিং নিচ্ছেন। গত বছর জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ৬৫ কেজি ফ্রি-স্টাইল কুস্তিতে তিনি সোনা জিতেছিলেন। একই ওয়েট ক্যাটাগরিতে বজরং গত বছর গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে গত বছর এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত করা হয়নি। এছাড়া দু’বার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছেন তিনি। ২০১৩ সালে ৬০ কেজি বিভাগে তিনি ব্রোঞ্জ জেতেন। গত বছর ৬৫ কেজি বিভাগে বজরং জেতেন রুপোর পদক। তবে তিনি বলেছেন, ‘এক বছর বাদে এই পুরস্কার পেয়ে আমার বাড়তি কোনও উচ্ছ্বাস নেই। আমি এখন পুরোপুরি মনোনিবেশ করেছি সেপ্টেম্বরের মাঝমাঝি বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের দিকে। আমার আসল লক্ষ্য টোকিও ওলিম্পিকসে সোনা জেতা।’ উল্লেখ্য, আগামী ১৪-২২ সেপ্টেম্বর কাজাখস্তানের নুর সুলতানে আয়োজিত হবে বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রসঙ্গে বজরং বলেছেন, ‘বড় মঞ্চে পারফর্ম করাই আমার লক্ষ্য। আগামী বছর টোকিও ওলিম্পিকসে সোনা জিততে আমি নিজেকে উজাড় করে দেব। আমার বাইরের কোনও মোটিভেশনের প্রয়োজন নেই। আসন্ন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও আমি পদকের রং বদলে সোনায় পরিণত করতে চাই।’ উল্লেখ্য, এর আগে তিনজন ভারতীয় কুস্তিগির এই সর্বোচ্চ খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন। এঁরা হলেন যথাক্রমে সুশীল কুমার, যোগেশ্বর দত্ত ও সাক্ষী মালিক। এই পুরস্কার মূল্য সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। সঙ্গে প্রাপককে দেওয়া হয় সোনার মেডেল ও রাষ্ট্রপতির সই করা শংসাপত্র। রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রেসিডেন্ট রামনাথ গোবিন্দ আগামী ২৯ আগস্ট হকি জাদুকর ধ্যানচাঁদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পালিত জাতীয় ক্রীড়া দিবসে এই পুরস্কার বজরংয়ের হাতে তুলে দেবেন।