কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ডুরান্ড কাপের প্রথম দুটি ম্যাচে আর্মি রেডকে ২-০ গোলে, জামশেদপুর এফসি’কে ৬-০ গোলে হারিয়ে শুরুটা ভালো করেছিল আলেজান্দ্রোর দল। কিন্তু কলকাতা লিগের শুরুতে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে লাল-হলুদ বাহিনী। তবে বুধবার বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে ড্র করলেই সেমি-ফাইনালে খেলা নিশ্চিত ইস্ট বেঙ্গলের। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু এফসি’কে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে ম্যাচটি জিততেই হবে।
আই লিগ ও আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি ‘বি’ টিম নিয়ে ডুরান্ড কাপ খেলতে এসেছে। ইস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন স্টপার নৌশাদ মুসাই দলটির কোচ। মূলত আইএসএলের দিকে ফোকাস করেছে জিন্দালদের দল। ডুরান্ড কাপ থেকে জুনিয়র ফুটবলার স্পট করাই লক্ষ্য ক্লাব ম্যানেজমেন্টের। ডুরান্ড কাপে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে বিএফসি। সেই ম্যাচে আর্মি রেডের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা। ‘এ’ গ্রুপে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ইস্ট বেঙ্গল শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্মি রেড (৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট), তিন ও চার নম্বরে অবস্থান করছে যথাক্রমে বেঙ্গালুরু এফসি (১ ম্যাচে ১ পয়েন্ট) ও জামশেদপুর এফসি (২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট)। ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো আগেই বলেছেন, ডুরান্ড কাপ ও কলকাতা লিগকে টেস্ট ইভেন্ট হিসেবেই তিনি ব্যবহার করবেন। তাঁর লক্ষ্য, আই লিগ। কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের বর্ষণসিক্ত মাঠে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে এক বিদেশি স্টপার নিয়ে খেলে ডুবেছিল ইস্ট বেঙ্গল। বিদেশি ফুটবলার নথিভুক্তি নিয়মের জাঁতাকলে পড়ে ইস্ট বেঙ্গলকে সেই ম্যাচে একমাত্র স্প্যানিশ স্টপার মার্তি ক্রেসপিকে খেলাতে হয়েছে। ময়দানের নিজেদের মাঠ একেবারেই পছন্দ নয় লাল-হলুদ কোচের। বুধবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলতে হবে বলে সামান্য স্বস্তি রয়েছে আলেজান্দ্রোর। সবচেয়ে বড় কথা, ডুরান্ড কাপে তাঁর সব বিদেশি খেলাতে সমস্যা নেই।
আপফ্রন্টে হাইমে স্যান্টোস কোলাডোকে পাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ। যিনি গোলের মধ্যে রয়েছেন। রোটেশনে ক্যাপ্টেন পরিবর্তন করছেন আলেজান্দ্রো। মরশুমের প্রথম তিন ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন যথাক্রমে লালরিনডিকা রালতে, কাসিম আইদারা ও সামাদ আলি মল্লিক। বিএফসি’র বিরুদ্ধে স্প্যানিশ স্টপার বোরহা গোমেজের অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কোনও এক অদ্ভূত নিয়মে ডুরান্ড কাপের ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে হচ্ছে না ইস্ট বেঙ্গলের। যা নিয়ে ডুরান্ড কমিটি ও ইস্ট বেঙ্গলের কোনও হেলদোল নেই।
যেমন শতবর্ষে ফুটবল টিমের দিকে কোনও ফোকাস নেই ইস্ট বেঙ্গল কর্তাদের। শতবর্ষ অনুষ্ঠানকে সর্বতোভাবে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য তাঁদের মরিয়া চেষ্টার মধ্যে দিয়ে কোয়েসকে
টেক্কা দেওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট। আর শতবর্ষ নিয়ে ভাবতে কোয়েসের যেন বয়েই গিয়েছে। একই ক্লাবে দুই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গী আমদানি করে এক নতুন ফুটবল সংস্কৃতি তৈরির নজির গড়ল ইস্ট বেঙ্গল!