গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কোহলির মুকুটে এদিন আরও একটি পালক যোগ হল। সৌরভ গাঙ্গুলিকে টপকে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের মালিক হয়ে গেলেন তিনি। কোহলির সামনে এখন শুধুই শচীন তেন্ডুলকর। ৩০৮টি ম্যাচ খেলে সৌরভ করেছিলেন ১১৩৬৩ রান। শচীন ৪৬৩টি ম্যাচে ১৮৪২৬ রান করেছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কোহলির রেকর্ড বরাবরই ভালো। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে এর আগে তাঁর সাতটি শতরান ছিল। সংখ্যাটা এদিন বেড়ে হল আট। বিশ্বকাপে পাঁচটি হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকালেও শতরান অধরা থেকে গিয়েছিল বিরাটের ব্যাটে। একদিনের ক্রিকেটে তিনি শেষ শতরানটি করেছিলেন মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ান ডে’তে ফের শতরানের দেখা পেলেন কোহলি। ১১২ বলে ওয়ান ডে কেরিয়ারে ৪২তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তিনি।
তবে ভারতের শুরু ভালো হয়নি। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শিখর ধাওয়ানের (২) উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ‘টিম ইন্ডিয়া’। রহিত শর্মাকেও চেনা মেজাজে পাওয়া যায়নি। এগার বল খেলার পর তিনি প্রথম রান পান। তবে চালিয়ে খেলতে গিয়ে রহিত ৩৪ বলে ১৮ রানে পুরানের হাতে ধরা পড়ে রোস্টন চেজের বলে। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ঋষভ পন্থ। ক্যারিবিয়ান সফরে যাঁকে ধোনির বিকল্প হিসাবে আনা হয়েছে। টি-২০ সিরিজে প্রথম দু’টি ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়ে মুখরক্ষা করেছিলেন ঋষভ। এদিন তাঁর সামনে বড় ইনিংস খেলার মঞ্চ সাজানো ছিল। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। ২০ রানে কার্লোস ব্রেথওয়েটের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ঋষভ।
পর পর তিনটি উইকেটের পতন ঘটায় ভারতের রানের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। তবে চতুর্থ উইকেটে শ্রেয়াস আয়ারের সঙ্গে বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন কোহলি। যার উপর ভর করে ভারত ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার চেষ্টা করে। এই প্রতিবেদন লেখা অবধি ‘টিম ইন্ডিয়া’ ৩৯.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তুলেছে। কোহলি ১০৭ ও শ্রেয়াস ৫০ রানে ক্রিজে আছেন।
ব্রায়ান লারার রেকর্ড ভেঙে ওয়েস্ট ইন্ডিদের হয়ে সবচেয়ে বেশি একদিনের ম্যাচ খেলার নয়া কীর্তি স্থাপন করলেন ক্রিস গেইল। ২৯৯টি ওয়ান ডে খেলেছিলেন লারা। রবিবার গেইল তিনশোতম ওডিআই মাইলফলক স্পর্শ করলেন। ম্যাচ শুরুর আগে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘৩০০’ লেখা কাট আউট।