কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। রানরেটের হিসেবে পয়েন্ট টেবলের পঞ্চম স্থানে থেকে অভিযান শেষ করে সরফরাজ আহমেদ, বাবর আজমরা। দলের এমন পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হতে পারেনি পিসিবি। স্বভাবতই ব্যর্থতার দায় গিয়ে পড়েছে প্রধান কোচ মিকি আর্থার ও তাঁর সহকারীদের ওপর। যদিও বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর পিসিবি’র কাছে আর্থার আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁকে যাতে আর দু’বছর সুযোগ দেওয়া হয়। ওই সময়কালের মধ্যে দলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু আর্থারের সেই অনুরোধে কর্নপাত করেননি বোর্ড কর্তারা। গত শুক্রবার রিভিউ মিটিংয়ে বসেছিল পিসিবির ক্রিকেট কমিটি। সেখানে দলের কোচিং স্টাফ বদলের সুপারিশ সর্বসম্মতিভাবে গৃহীত হয়। কমিটির প্রধান ওয়াসিম খান এবং অন্য তিন সদস্য ওয়াসিম আক্রাম, মিসবা উল হক ও উরুজ মুমতাজ বিষয়টি নিয়ে পিসিবি সভাপতি এহসান মানির সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করেন। তাঁদের পর্যালোচনার প্রেক্ষিতেই আর্থার ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এহসান মানি বলেন, ‘আমি পিসিবি’র ক্রিকেট কমিটির কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের সুপারিশ ছিল যে, দলে নতুন কোচিং স্টাফ ও পরিকল্পনা আনা দরকার। আমি তাদের সুপারিশ আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করছি।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘পিসিবি’র পক্ষ থেকে, আমি মিকি আর্থার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, গ্র্যান্ট লুডেন ও আজহার মাহমুদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার সময় তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। অতুলনীয় আস্থার পরিচয় দিয়েছেন। ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের আমরা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ আর্থার-সহ চার কোচিং স্টাফের চুক্তির মেয়াদ এই মাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। পিসিবি’র পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের শূন্যস্থান পূরণের জন্য কিছু দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। ২০১৬ সালের মে’তে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন মিকি আর্থার। তাঁর কোচিংয়েই পাকিস্তান এক নম্বর টি-২০ দল হিসেবে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, ২০১৭-র আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপের ব্যর্থতা তাঁর বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।