বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
চোট সারিয়ে সীমিত ওভারের দলে কামব্যাক করলেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর ভারতীয় দলে তরুণ ক্রিকেটারদের আরও বেশি করে সুযোগ দেওয়ার জোরালো দাবি উঠছিল। সেই পথে হেঁটেই টি-২০ দলে রাহুল চাহার, দীপক চাহার, ওয়াশিংটন সুন্দর, শ্রেয়াস আয়ার, নবদীপ সাইনি, খলিল আহমেদদের উপর ভরসা রাখা হয়েছে। এঁদের প্রায় প্রত্যেকেই ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে একদিনের সিরিজ খেলছেন।
ওয়ান ডে দলে খুব বেশি চমক চোখে পড়েনি। মিডল অর্ডারের সমস্যা মেটাতে শ্রেয়াস আয়ার, মণীশ পাণ্ডের মতো ভারতীয় ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শ্রেয়াস অতীতে ভারতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ফলে তাঁর কাছে এই সুযোগ কাজে লাগানোর বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে। অতিরিক্ত ম্যাচ খেলায় যশপ্রীত বুমরাহকে সীমিত ওভারের সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। হার্দিক পান্ডিয়াকেও কোনও দলে রাখা হয়নি একই কারণে।
মহম্মদ সামি ও ভুবনেশ্বর কুমারের মতো দুই সিনিয়র পেসার একদিনের দলে আছেন। টি-২০ দলে ভুবি জায়গা পেলেও ব্রাত্য থেকেছেন সামি। দীপক চাহার, নবদীপ সাইনি ও খলিল আহমেদদের উপর ভরসা রেখেছেন জাতীয় নির্বাচকরা। একদিনের দলেও খলিল ও সাইনি সুযোগ পেয়েছেন। তবে দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চাহাল বিশ্বকাপে হতাশ করলেও ওয়ান ডে টিমে জায়গা ধরে রাখতে তাঁরা সফল। তবে কেদার যাদবকে কেন রাখা হল, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। অনেকেই চাইছিলেন, দীনেশ কার্তিকের মতো ছেঁটে ফেলা হোক কেদারকেও। দুই রিস্ট স্পিনার কুলদীপ ও চাহালের উপর চাপ বাড়াতে ক্রুনাল পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজার মতো স্পিন অলরাউন্ডারকেও ক্যারিবিয়ান সফরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টি-২০ দলের সদস্য করে। টেস্ট দলে খুব বেশি চমক নেই। বিরাট কোহলি প্রথম দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সীমিত ওভারের সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর তিনি বেশ চাপে পড়ে যান। তার উপর রহিত শর্মাকে অধিনায়ক করার দাবি উঠছিল। পায়ের তলার জমি যে আলগা হচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছিলেন বিরাট। তাই ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিন ফরম্যাটেই তিনি খেলবেন। আর তাই কোহলির নেতৃত্বেই তিন ফরম্যাটের দল বেছে নিয়েছেন নির্বাচকরা। টি-২০ এবং একদিনের সিরিজে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে রহিত শর্মাকেই। টেস্টে কোহলির ডেপুটি হিসাবে বেছে নেওয়া হচ্ছে অজিঙ্কা রাহানেকে।
বিশ্বকাপের পর আপাতত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকেই পাখির চোখ করছে ভারত। তাই ক্যারিবিয়ান সফরে টেস্ট সিরিজে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। কাউন্টি ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করার পুরস্কার পেলেন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর সঙ্গে আছেন আরও দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদীপ যাদব। টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন রহিত শর্মা। চার পেসার হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে ইশান্ত শর্মা, যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সামি ও উমেশ যাদবকে।
টি-২০ দল: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রহিত শর্মা (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আয়ার, মণীশ পাণ্ডে, ঋষভ পন্থ, ক্রুনাল পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, রাহুল চাহার, ভুবনেশ্বর কুমার, খলিল আহমেদ, দীপক চাহার, নবদীপ সাইনি।
ওয়ান ডে দল: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রহিত শর্মা (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আয়ার, মণীশ পাণ্ডে, ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেদার যাদব, মহম্মদ সামি, ভুবনেশ্বর কুমার, খলিল আহমেদ ও নবদীপ সাইনি।
টেস্ট দল: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), অজিঙ্কা রাহানে (সহ-অধিনায়ক), মায়াঙ্ক আগরওয়াল, লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা, হনুমা বিহারি, রহিত শর্মা, ঋষভ পন্থ, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সামি, যশপ্রীত বুমরাহ, উমেশ যাদব।