বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
রিয়াদ মাহরেজ বনাম সাদিও মানে। কায়রো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আফ্রিকান নেশনস কাপ ফাইনালের মুখ্য আকর্ষণ ছিল দু’দেশের এই দুই মহাতারকার লড়াই। কিন্তু হাইভোল্টেজ ম্যাচের নিষ্পত্তিতে খুব একটা অবদান রাখতে পারলেন না তাঁরা কেউই। দেড় মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের বাকি সময়টা আধিপত্য নিয়ে ফুটবল খেললেও কাঙ্খিত গোল তুলে নিতে পারেনি সাদিও মানের সেনেগাল। এদিন দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন আলজেরিয়ান স্ট্রাইকার বাগদাদ বৌনেদা। মাঝমাঠ থেকে থ্রু বল ধরে সেনেগালের ডিফেন্ডার সাদিও সেনকে আউটসাইড ডজে পরাস্ত করে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে গোলমুখী শট নেন তিনি। বৌনেদার জোরালো শট সেন আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁর পায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। সেনেগালের গোলরক্ষক খানিকটা এগিয়ে থাকার কারণে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া তাঁর আর কিছুই করার ছিল না। এরপর মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও সমতা ফেরাতে পারেনি সেনেগাল। প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভিড়ে বারবার প্রতিহত হয়েছে তাদের আক্রমণ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবলের কারণে সেনেগাল পেনাল্টি পেলেও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পরে তা বাতিল করে দেন রেফারি। ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমবারের জন্য খেতাব জয়ের স্বপ্নও কার্যত ফিকে হয়ে যায় সেনেগালের। সারা ম্যাচে গোল লক্ষ্য করে মাত্র একটি শট নিয়েছে আলজেরিয়া। খানিকটা ভাগ্যের সহায়তায় সেই একমাত্র শট আত্মঘাতী গোলে পরিণত হওয়ার সুবাদে ট্রফির দখল পেয়ে যায় আলজেরিয়া। ১৯৯০ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে দেশের মাটিতে প্রথমবার আফ্রিকান নেশনস কাপ জিতেছিল তারা। টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন আলজেরিয়া মিডফিল্ডার ইসমাইল বেনাসের। এছাড়া টুর্নামেন্টে সর্বাধিক পাঁচটি গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন নাইজিরিয়ার স্ট্রাইকার ওডিয়ন ইগহালো।