বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বিশ্বকাপ পর্যন্ত বর্তমান ভারতীয় দলের কোচিং স্টাফের সদস্যদের সঙ্গে চুক্তি ছিল বিসিসিআইয়ের। যদিও মেয়াদ বাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে সেটা করা হয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে ভারতীয় দল ছিটকে যাওয়ার আগেই। কিন্তু সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোহলি বাহিনীর হারের পর ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রীর অপসারণ চাইছেন অনেকেই। সহকারি কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের ভূমিকাতেও খুশি নন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক কমিটির সদস্যরা। বোলিং কোচ ভরত অরুণের কাজে কিছুটা খুশি বিসিসিআই। তবে রবি শাস্ত্রী সরে গেলে ভরত অরুণও থাকবেন না বলেই শোনা যাচ্ছে। ভারতীয় দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে বর্তমান ভারতীয় দলের কোচিং স্টাফরাও কোচ নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশ নিতে পারবেন বলে বিসিসিআই জানিয়ে দিয়েছে।
বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ভারতীয় দলের হেড কোচ হতে গেলে টেস্ট খেলিয়ে দেশের হয়ে দু’বছর বা অ্যাসোসিয়েট মেম্বার বা ‘এ’ টিম কিংবা আইপিএলে তিন বছরের কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে আবেদনকারীকে ৩০টি টেস্ট ও ৫০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোচের ক্ষেত্রে নিয়ম একই থাকছে। শুধু ম্যাচ সংখ্যা দেখা হবে না।
ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশি কোচ চাইছেন বিরাট কোহলিরা। কারণ, রবি শাস্ত্রীকে কোচ করা নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এমনকী, অনিল কুম্বলেকে কোচের পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল কোহলির চাপেই। আর সেটা নাকি ভারত অধিনায়ক করেছিলেন রবি শাস্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য। এতদিন, বিরাট কোহলিকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে এসেছেন প্রশাসক কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ রাই। তবে বিশ্বকাপে ভারতীয় দল সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বিনোদ রাইও কোচ চয়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ্বতা রাখতে চাইছেন। সেটা ভালোই জানেন কোহলিও। তাছাড়া ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশও খুব একটা ভালো নয়। কোহলি-শাস্ত্রী জুটির বিরুদ্ধে অনেকেই মুখ খুলেছেন গোপনে। সেই ফাটল আর বাড়তে দিতে রাজি নয় বিসিসিআই।
রবি শাস্ত্রী যদি হেড কোচের পদে পুননির্বাচিত না হন, তাহলে কে হবেন কোহলিদের পরবর্তী কোচ? বেশ কিছু নাম শোনা যাচ্ছে। অনেকে চাইছেন, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে হেড কোচ করা হোক। আর অস্ট্রেলিয়ার ধাঁচে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রহিত শর্মাকে এবং টেস্টে অধিনায়ক হিসাবে বিরাট কোহলিকে রেখে দেওয়া হোক। তবে বিদেশি কোচের পদে গ্যারি কার্স্টেন, রিকি পন্টিং, ট্রেভর বেইলিসের নামও শোনা যাচ্ছে।