বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রত্যেক সিরিজ বা টুর্নামেন্টের পরেই এই রিভিউ মিটিং করে থাকে সিওএ। তাই এটা নতুন কিছু নয়। তবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৮ রানে হারের পর ভারতীয় দল নির্বাচন এবং ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রাক্তনরা প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে যেমন বলেছেন, দীনেশ কার্তিকের মতো একজন বর্ষীয়ান ক্রিকেটারকে কেন বিশ্বকাপে খেলানো হল? কেউ আবার মনে করে, ধোনিকে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে চার নম্বরে নামানো উচিত ছিল। তাই ভারতীয় দলের কোচ, ক্যাপ্টেনের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচকরাও সিওএ’র র্যাডারে আছেন।
ভারতের পরের সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। তার জন্য ১৭ কিংবা ১৮ জুলাই দল নির্বাচন হবে। শোনা যাচ্ছে, সীমিত ওভারের সিরিজে বিরাট কোহলি খেলবেন না। বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে রহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ সামিকে তবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি এখন টেস্ট খেলেন না। শুধুই টি-২০ ও একদিনের ক্রিকেটে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, বিশ্বকাপ খেলেই ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পাকাপাকিভাবে অবসর নেবেন। যদিও সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তবে মাহিকে নিয়ে আগাম কিছু অনুমান করাও ঠিক নয়। কখন তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা কেউ টের পাবে না। তবে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়া টি-২০ বিশ্বকাপ রয়েছে। ধোনি বরাবরই এই ফরম্যাটে দক্ষ। তাই অনুমান করা হচ্ছে, তিনি হয়তো টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে ভারতীয় দলের জার্সি খুলে রাখবেন।
এদিকে, লন্ডন থেকে দেশে ফেরার জন্য রবিবার বিমান ধরছেন বিরাট কোহলিরা। তবে সিওএ প্রধান বিনোদ রাই বৈঠকের দিন নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি। তবে কোচ ও ক্যাপ্টেনের থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, বিশ্বকাপে ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে ঝড় উঠতে পারে পর্যালোচনা বৈঠকে। যেমন, অম্বাতি রায়াডুকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল? কেনই বা ঋষভ পন্থের জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছিল দীনেশ কার্তিককে? একটা দলে তিন উইকেটকিপার রাখার কারণও জানতে চাওয়া হতে পারে এম এস কে প্রসাদের কাছে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের বিশেষ কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা উঠে আসতে পারে পর্যালোচনায়।
কোপের মুখে পড়তে পারেন জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলীর দুই সদস্য দেবাং গান্ধী ও শরণদীপ সিং। তাঁদের আচরণে একেবারেই সন্তুষ্ট নন প্রশাসক কমিটি। ভারতীয় দলের প্র্যাকটিসে শরণদীপ জাতীয় দলের জার্সি পরায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণ খোঁজার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বড় ইভেন্টের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচকরা যাতে আরও সতর্ক থাকেন, সেই বার্তাও দিতে পারেন বিনোদ রাইরা। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপের রোডম্যাপও স্থির হতে পারে।