বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
চলতি বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে রীতিমতো দাপট দেখিয়েছে ভারত। আটটির মধ্যে সাতটি ম্যাচ জিতেছিলেন বিরাট কোহলিরা। একটা ম্যাচেই তারা হেরেছিল। সেটা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে ভারতকে অনেকেই সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ধরেছিলেন। কিন্তু কোহলিরা সেই নক-আউটেই আটকে গেলেন। টপ অর্ডারের সেরা তিন ব্যাটসম্যান মাত্র ৫ রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। রহিত শর্মা গোটা টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে মুগুর ধোলাই করলেও, সেমি-ফাইনালে ছিলেন নিস্প্রভ। ৬৪৮ রানেই তাঁর অভিযান শেষ হয়। মাত্র ২৬ রানের জন্য এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী শচীন তেন্ডুলকরের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থেকে গেল। বরাবরের মতো নক-আউটে ফের হতাশ করলেন কোহলি। গত ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেও সেমি-ফাইনালে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি লোকেশ রাহুল। তিনিও এক রান করে আউট হন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে তাই ভারত অধিনায়ক, ৪৫ মিনিটের খারাপ ক্রিকেটকেই দায়ী করেছেন। কোহলিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালও কি আইপিএলের প্লে-অফের ফরম্যাটে হওয়া উচিত? জবাবে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘খুব সঙ্গত একটি প্রশ্ন করেছেন। এটা চালু হলে ভালোই হবে। তবে কবে চালু হবে আমার জানা নেই। আইপিএলের প্লে-অফের ফরম্যাটের যথেষ্ট আকর্ষণ রয়েছে। কারণ, লিগ পর্বে ভালো খেলার সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু বিশ্বকাপে লিগ পর্বে আমরা ভালো খেললাম। কিন্তু নক-আউটে একটা খারাপ দিন আমাদের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে দিল। আইপিএলের ধাঁচে নক-আউট হলে আমরা ভুল শুধরে নেওয়ার আরও একটা সুযোগ পেতাম। তবে সব জেনে বুঝেই আমরা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ চারের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলাম। তাই হারের পর কোনও অজুহাত খাড়া করতে চাই না। সেটা অনুচিত। পরাজয়টা স্বীকার করতে হবে। আমরা সেটা করছিও। আমাদের থেকে ভালো খেলেই নিউজিল্যান্ড ফাইনালে উঠেছে। কেন উইলিয়ামসনদের আমি আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছি।’ ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জেরেকর কিছুদিন আগে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে মজা করেছিলেন। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৯ বলে ৭৭ রান করে যোগ্য জবাব দিয়েছেন জাড্ডু। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বাধ্য হয়ে জাদেজার প্রশংসা করে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে জাদেজাকে নিয়ে যা হয়েছে, তার নিন্দা করার মতো ভাষা আমাদের কাছে নেই। জাদেজা নিজেকে প্রমাণ করার জন্য তৈরি ছিল। ও যেভাবে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করল, সেটা আমরা টেস্ট ক্রিকেটে দেখেছি। প্রবল চাপের মুখে ওর এই ইনিংস কিছুটা হলেও আমাদের জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ওর তিনটি ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে। তাই ওর প্রতিভা নিয়ে আমাদের কখনই সংশয় ছিল না। আমার দেখা আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা সেরা বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান জাড্ডু। আমি ওকে দশ বছর ধরে দেখছি। ও অনেক ম্যাচে আমাদের জিতিয়েছে। তবে একদিনের ক্রিকেটে আমার চোখে এটাই জাদেজার সেরা ইনিংস। কারণ, প্রবল চাপ নিয়ে ওকে খেলতে হয়েছে। শুরুটা আমাদের খারাপ হলেও জাদেজা-ধোনি যখন খেলাটা ধরেছিল, তখন ড্রেসিংরুমে আমাদের আলোচনা হচ্ছিল, ম্যাচটা এখান থেকেও জেতা যেতে পারে। তবে সেটা না হওয়ায় আপসোস রয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপে আমরা সকলেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নতুন করে আমাদের শুরু করতে হবে।’