আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জয়ের জন্য ভারতের সামনে ২৪০ রানের টার্গেট রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ‘টিম ইন্ডিয়া’র লড়াই ৪৯.৩ ওভারে ২২১ রানেই শেষ হয়ে যায়। একটা সময় ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে পাঁচ রান। সেখান থেকে ঋষভ পন্থ ও হার্দিক পান্ডিয়া কিছুটা লড়াই করেন। যদিও তাঁরাও উইকেটে সেট হয়ে যাওয়ার পর বাজে শট খেলে আউট হন। ৯২ রানেই ভারতের ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (৫০) ও রবীন্দ্র জাদেজা (৭৭)। সপ্তম উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ১১৬ রান। যা ভারতের জয়ের সম্ভাবনা ফের জাগিয়ে তুলেছিল। কিন্তু ধোনি রান আউট হতেই ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের মুঠোয় চলে যায়। শচীন বলেছেন, ‘ধোনি যে সব ম্যাচ ফিনিশ করবে, সেটা প্রত্যাশা করা অনুচিত। ও চেষ্টা করেছে। সেটা তারিফ যোগ্য।’
নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের প্রশংসা করে মাস্টার ব্লাস্টার বলেন, ‘ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেট দেখেই মনে হয়েছিল, ২৪০ রান লড়াই করার মতো স্কোর। তবে আমি নিউজিল্যান্ডের বোলারদের পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানাব। ওরা উইকেট টু উইকেট বল করেছে। সঠিক জায়গায় নিয়মিত বল পিচ করানোয় উইকেটও পেয়েছে। কেন উইলিয়ামসনের ক্যাপ্টেন্সি অনবদ্য। যোগ্য দল হিসাবেই জিতেছে কিউয়িরা।’
ভারতের আর প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ভি ভি এস লক্ষ্মণ ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও মহেন্দ্র সিং ধোনির। তিনি বলেছেন, ‘পর পর দু’বার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার জন্য আমি কেন উইলিয়ামসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে রবীন্দ্র জাদেজা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি কিন্তু দারুণ লড়েছে। সেই কারণেই জয়ের এত কাছে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি। নতুন বলে ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ট অসাধারণ বোলিং করেছে। শুরুতেই আমাদের তিন সেরা ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটা জিততে সুবিধা হল।’
প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জেরেকর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলেও আমার চোখে ভারত কিন্তু চ্যাম্পিয়নের থেকে কম নয়। কারণ, ন’টি ম্যাচের মধ্যে আমরা সাতটি জিতেছি। হেরেছি মাত্র দু’টিতে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরুটা ভালো না হলেও দারুণ একটা লড়াই হয়েছে শেষ অবধি।’