বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
ধোনির এটাই শেষ বিশ্বকাপ। অধিনায়ক বিরাট কোহলি সহ দলের বর্তমান ক্রিকেটারদের প্রত্যেকেরই মেন্টর তিনি। ধোনি সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেছেন, ‘একসময় এমএসের নেতৃত্বে সকলে খেলেছে। তা সত্ত্বেও কেমন সুন্দর দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে এমএস নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। কাজটা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। নিজের যোগ্যতাকে এমএস কখনও জাহির করে না। ওঁর মনের বিশালতা এখানেই। বলতে পারেন এমএসের এটা খুব বড় গুণ।’
কোহলি জানিয়েছেন, ধোনির মূল্যবান পরামর্শ নেওয়া তাঁর কাছে এক বিরাট প্রাপ্তি। আর সেই সুযোগ তিনি কখনই হাতছাড়া করতে চান না। তিনি বলেছেন, ‘আমি সুযোগ পেলেই এমএসের মূল্যবান পরামর্শ নিই। এমএস কিন্তু খোলা মনেই কী করণীয় তা বলে দেয়। কখনই নিজের অভিজ্ঞতার ডালি উজাড় করে দিতে দ্বিধা করে না। এমএসের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়ায় আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান বলে মনে করছি। এমএসের আরও একটা বড় গুণ হল, ও কখনই নিজেকে জাহির করে না বা, নিজের চিন্তাভাবনা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে না। এমএসের কাছ থেকে সত্যিই অনেক কিছু শেখার আছে।’
রহিত শর্মার মতো বিরাট কোহলিও মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। কারণ, দিনের পর দিন ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও ‘অধিনায়ক’ ধোনি তাঁদের আগলে রেখেছেন। আরও একটা সুযোগ দিয়েছেন। আর এখন ভারতীয় ক্রিকেট রহিত, কোহলিদের দুরন্ত ফর্মের সুফল পাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কোহলি বলেছেন, ‘এমএস আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, আমাদের যোগ্যতার উপর যে আস্থা রেখেছে, তারজন্য চিরদিনই আমার ওকে শ্রদ্ধা করব, সম্মান দেব। এখন কিন্তু আমরাই ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ধোনির অবসর নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। বিরাট মনে করেন, ‘অবসর নিয়ে এত কথা না বলে সকলের উচিত এমএসের ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করা। বর্তমানে ভারতীয় দল যে সম্মান পাচ্ছে, তার পিছনে বিরাট অবদান রয়েছে এমএসের। একজন ব্যক্তির যখন ভারতীয় দলের প্রতি এত বিরাট অবদান, তখন ভারতীয় ক্রিকেটের তো তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।’