উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে ওপেনার জ্যাসন রয় ব্যাট করার মতো জায়গায় ছিলেন না। একই ভাবে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকেও। তাই জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ওপেন করতে নামেন জো রুট। ওপেনিং জুটিতে ৯৫ রান যোগ হওয়ার পর আউট হন বেয়ারস্টো (৪৬ বলে ৪৫)। এরপর রুট ও ক্রিস ওকস ১০৪ রান যোগ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। পাকিস্তান ম্যাচের পর ফের সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জো রুট বললেন, ‘শতরান পেয়ে এবং দলকে জেতাতে পেরে দারুণ লাগছে। টসে জেতার সুযোগটা কাজে লাগাতে পেরেছি। তিনে নামা আর ওপেন করার মধ্যে কোনও পার্থক্য খুঁজে পাইনি আমি।’
টসে জিতে ইয়ন মরগ্যান যখন ক্যারিবিয়ানদের ব্যাট করতে পাঠালেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন যে ৩০০-র উপর রান উঠবে। কিন্তু, রানের জন্য মূলত যে দু’জনের দিকে তাকিয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেই ক্রিস গেইল (৪১ বলে ৩৬) এবং আন্দ্রে রাসেল (১৬ বলে ২১) বড় রানের ইনিংস গড়তে পারলেন না। গেইল তবু প্রথমদিকে একটু ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, ইংল্যান্ডের বোলারদের রাইজিং ডেলিভারি আগাগোড়া বেগ দিয়ে গেল ক্যারিবিয়ান ব্যাটমস্যানদের। ক্রিস ওকসের প্রথম ওভারটাই ছিল মেডেন। নিকোলাস পুরান (৬৩) চালিয়ে খেললেও রানের মধ্যে থাকা সাই হোপ (১১) এদিন রান পেলেন না। তাই, ওয়েস্ট ইণ্ডিজের ইনিংস শেষ হয়ে গেল মাত্র ২১২ রানে (৪৪.৪)। দলের দুই বিগ হিটারকে উইকেট ছুঁড়ে দিতে দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্রায়ান লারাকে বলতে শোনা যায়, ‘এভাবে আউট হওয়া মানা যায় না। ইংল্যাণ্ডের বোলাররা গতির হেরফের করে বাজিমাত করে দিয়ে গেল।’ জোফ্রা আর্চার ও মার্ক উড তিনটি করে এবং জো রুট দু’টি উইকেট নিলেন। আসলে, টুর্নামেন্ট যত এগচ্ছে, জ্যাসন হোল্ডারের দলের ধারাবাহিকতার অভাব ততই যেন প্রকট হচ্ছে।
জোফ্রা আর্চারের বাবা ব্রিটিশ। কিন্তু, তাঁর জন্ম বার্বাডোজে। জোফ্রা আর্চারের এই ম্যাচটি ছিল নিজের মাতৃভূমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। ইয়ন মরগ্যানের জানতেন জোফ্রা আর্চার বিপক্ষের দলের অনেককেই ভালো করে চেনেন। তাঁদের খেলার ধরন জানেন। জোফ্রা আর্চার জানিয়েছেন, বিশেষ কিছুই নয়। এটাকে আর একটা ম্যাচ হিসেবেই তিনি দেখছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার সুবাদে বিপক্ষ ওয়েস্ট ইণ্ডিজ শিবিরের কয়েকজনকে তিনি চেনেন। তাঁদের খেলার ধরন সম্পর্কে তাঁর একটা ধারণা ছিল। এই ম্যাচে সেই ‘পরিচিতি’ কাজে লাগালেন জোফ্রা আর্চার। প্রথম স্পেলে উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় স্পেলে তুলে নিলেন তিনটি উইকেট। তাঁর বোলিং গড় ৯-১-৩০-৩। ক্যারিবিয়ান শিবিরকে অল্প রানের মধ্যে আটকে দেওয়ার পর জোফ্রা আর্চার বেশ উচ্ছ্বসিতভাবেই বললেন, ‘এই ম্যাচ আমার কাছে আলাদা কিছু ছিল না। কয়েকজন পুরনো বন্ধুর বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ভালোই লাগছিল। আরও ভালো লাগল ক্রিস গেইলকে আগে ফেরাতে পারায়। বাকিদেরও দ্রুত ফেরাতে পেরেছি বলে কাজটা কিছুটা সহজ হয়ে গেল।’