উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরেই নটিংহ্যামসহ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। স্থানীয় হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিলই, ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু একটিও বল খেলা না হওয়ায় দুই দলের সমর্থকররা ভীষণ হতাশ। তবে এটা প্রথম নয়, এবারের বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। সকাল থেকেই ট্রেন্ট ব্রিজে বৃষ্টি পড়ছিল। ফলে নির্ধারিত সময় টস হয়নি। আম্পায়াররা দফায় দফায় মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন। শেষ অবধি স্থানীয় সময় বিকেল তিনটেয় পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এতে ভারতেরই বেশি ক্ষতি হল বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। কারণ, বিরাট কোহলিরা দারুণ ছন্দে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাকিস্তানের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচরে আগে আরও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারত ‘টিম ইন্ডিয়া’। বিরাট কোহলিরা ড্রেসিংরুম থেকেই বেরোতে পারেননি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল কনকনে ঠান্ডা। ঘন ঘন চায়ের কাপে চুমুক দিতে দেখা গিয়েছে। ড্রেসিংরুমের জানালা দিয়ে আকাশের দিকে উঁকি মারছিলেন কোহলিও। আসলে, ভারতীয় দল চাইছিল ওভার সংখ্যা কমলেও ম্যাচটা হোক। তাতে ওপেনার হিসাবে লোকেশ রাহুলকে দেখে নেওয়ার সুযোগ পেতেন কোচ রবি শাস্ত্রী। চার নম্বরের ধোঁয়াশাও দূর হত।
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী, একটিও বল খেলা না হলে টিকিটের পুরো অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু বহু দর্শক ব্ল্যাকে টিকিট কেটেছেন। সিঙ্গাপুরের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের টিকিট কেটেছিলেন ব্ল্যাকে। যার মূল্য পড়েছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু খেলা পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় তিনি টিকিটের মূল অর্থই ফেরত পাবেন। যাতে তিনি বেশ অসন্তুষ্ট। এক ভারতীয় সমর্থক জানান, ‘পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য আড়াই লক্ষ্য টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছি। জানি না ভাগ্যে কী রয়েছে।’
বৃষ্টি হলেও কেন রিজার্ভ ডে রাখা হল না? জবাবে আইসিসি’র চিফ এক্সিকিউটিভ ডেভ রিচার্ডসন বলেছেন, ‘প্রায় দেড় মাস ধরে টুর্নামেন্ট হচ্ছে। তার উপর যদি লিগ পর্বের ম্যাচগুলিতে রিজার্ভ ডে রাখা হত, তাহলে টুর্নামেন্ট আরও দীর্ঘায়িত হত। সেটা কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। গত বছর জুন মাসে ইংল্যান্ডে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এবার সেটা গত দু’দিনেই ১০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রিজার্ভ ডে’তেও যে বৃষ্টি হত না তার কোনও গ্যারান্টি ছিল না। তাছাড়া অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হত।’