গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কালনা শহরের বারুইপাড়ার মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে সায়নী ছোট থেকে সাঁতারু হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক সায়নীর বাবা রাধেশ্যাম দাস মেয়ের স্বপন পূরণে তাঁর সাঁতারের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি মেয়েকে নিয়ে কালনা শহরের পাড়ার পুকুর ও ভাগীরথী নদীতে অনুশীলন করান। একের পর এক সাফল্য আসতে থাকে। সায়নী স্বপ্ন দেখেন সপ্তসিন্ধু পার হওয়ার। সেই মতো ২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল জয়, ২০১৮ অস্টেলিয়ার রোটনেস্ট চ্যানেল জয়। এরপরই চলতি বছর ৮ জুন শনিবার রাতে আমেরিকায় ক্যাটালিনা চ্যানেল জয় করেন। সপ্তসিন্ধুর ত্রিমুকুট জয় সম্পূর্ণ হয় তাঁর। দেশ বিদেশের মানুষের শুভেচ্ছায় ভেসে যান সায়নী। সকলেই সায়নীর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে বিমানে কলকাতায় নামার পর বুধবার ভোরে কালনায় পৌঁছন তিনি। তবে, এখনও সরকারিভাবে কোনও বার্তা আসেনি বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়।
সায়নীর বাবা রাধেশ্যামবাবু বলেন, সকলের সাহায্য, ওর কঠোর অনুশীলন ওকে সাফল্য এনে দিয়েছে। আগামী লক্ষ্য এই মুহূর্তে ঠিক করা হয়নি। পুরোটাই ওর ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওর মত নিয়েই আগামী প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তবে, তিনি অকপটে স্বীকার করেন, প্রতিদিনের সাঁতারের অনুশীলনে সমস্যা রয়েছে। শহরের কয়েকটি পুকুরে এতদিন সাঁতার অনুশীলন করে এলেও পুকুরগুলি নোংরা হয়ে গিয়েছে।
সায়নী বলেন, সকলের উৎসাহ ও সহযোগিতায় সাফল্য পেয়েছি। আগামীদিনেও সকলের সহযোগিতা পাব বলে আশা করি। সায়নী ক্যাটালিনা জয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, জল ছিল অসম্ভব ঠান্ডা, স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে হয়েছে। এমন হয়েছে ১০ মিটার সাঁতার কাটতে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিমির দেখা মিলেছে। ভয় পেলেও লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।
কালনা অ্যামেচার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গৌরাঙ্গ গোস্বামী বলেন, সায়নী আজ দেশের গর্ব। ওর মনের জোর ও কঠোর অনুশীলন ওকে সাফল্য এনে দিয়েছে। ওর সাফল্য দেখে অন্যান্য সাঁতারুরা আরও উৎসাহিত হবে। আমরা ওর পাশে আছি। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, আমেরিকায় যাওয়ার আগে ওর সাফল্য কামনায় শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। ওর সাফল্যে আমরা খুশি।