কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
এই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েও সিরিজ হেরে গিয়েছিল ভারত। সেই দলে ছিলেন না স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্কের মতো অভিজ্ঞ তারকারাও। অজিদের কাছে বছরের গোড়ায় সেই সিরিজ হারের যন্ত্রণা এতদিনে লাঘব হল বিরাট কোহলির। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘরের মাঠে সিরিজ হারার পর এই ম্যাচটা আমাদের কাছে প্রমাণ করার বিষয় ছিল। সেই লক্ষ্যে আমরা একশো ভাগ সফল। তিন বিভাগেই অনবদ্য পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে দল। আমার বিশ্বাস, টুর্নামেন্ট যত গড়াবে, ততই উর্দ্ধমুখী হবে আমাদের পারফরম্যান্স গ্রাফ। তবে এখনই আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে মাত্র দুটো ম্যাচ জিতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লে বিপদ। সামনে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে নিজেদের মূল্য লক্ষ্য এবং দায়িত্ব সম্পর্কে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সফল ভাবে রান তাড়া করার পর পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ভারত যে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছে, তাতে কোহলিদের ঘিরে স্বপ্ন আরও বেড়ে গেল ভারতীয় সমর্থকদের। তবে এখনই বেশিকিছু ভাবতে নারাজ কোহলি। সেমি-ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে তিনি কতটা আশাবাদী, এমন প্রশ্নের জবাবে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের এগতে হবে ম্যাচ বাই ম্যাচ পরিকল্পনা করে। এখনই চূড়ান্ত লক্ষ্য নিয়ে ভাবতে শুরু করলে ক্রিকেটারদের মানসিক চাপ বেড়ে যাবে। তাই আমরা আপাতত শুধু পরের ম্যাচটা নিয়েই মনঃসংযোগ করছি। টুর্নামেন্টে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচের পর সেমি-ফাইনাল নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব। তার আগে নয়।’
ওভালে রবিবার শুরুতে ব্যাট করে ৩৫২ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে তুলেছিল ভারত। জবাবে ৩১৬ রানেই আটকে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ (৬৯), ডেভিড ওয়ার্নার (৫৬) এবং অ্যালেক্স কেরি (অপরাজিত ৫৫) অর্ধশতরান করলেও কখনোই জয়ের আশা জাগাতে পারেনি অজি বাহিনী। দাপটের সঙ্গেই ৩৬ রানে জিতে মাঠ ছাড়ে ভারতীয় দল। এই জয়কে ভারতের সেরা জয়গুলির একটি বলেও চিহ্নিত করেন কোহলি। তাঁর কথায়, ‘নিঃসন্দেহে এটা আমাদের অন্যতম সেরা জয়। আর নেপথ্যে রয়েছে দলীয় প্রয়াস। স্কোর বোর্ডে সাড়ে তিনশোর ওপর রান থাকার ফলে আমরা বেশ নিশ্চিন্তই ছিলাম। ধাওয়ান ভিতটা গড়ে দেওয়ার পর বাকি ব্যাটসম্যানরা তার পূর্ণ সদ্ব্যহার করেছে। কৃতিত্ব দিতে হবে বোলারদেরও। বিশেষ করে নতুন আর পুরানো বলে ভুবনেশ্বর দারুণ নজর কেড়েছে। আমার বিশ্বাস, এই জয় থেকে অর্জিত আত্মবিশ্বাস পরের ম্যাচগুলিতে আমাদের আরও ভালো খেলতে উদ্দীপ্ত করবে।’ উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার নটিংহ্যামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচটি খেলবে ভারতীয় দল।