নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আইএফএ’র প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি ইস্ট বেঙ্গলে খেলার বিধান দিলেও জবি জাস্টিন আগামী মরশুমে এটিকে’তে খেলার ব্যাপারেই আত্মবিশ্বাসী। রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে দক্ষিণের এই স্ট্রাইকার পরিষ্কার বলেন, ‘আমি যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে এবার পুরো বিষয়টি এআইএফএফ ও এফপিএআই’তে (ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন) পাঠাতে চাই। যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। আমি আগামী দিনে কোন ক্লাবে খেলব তা নিয়ে মিডিয়ার প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু আবার পরিষ্কার করে বলছি, এটিকে’তে খেলার জন্য আমি তিন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। যা শুরু হচ্ছে ২০১৯-২০ মরশুম থেকে। আমি শুনেছি, পুরানো ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে খেলার জন্য দু’বছরের চুক্তিপত্রে নাকি সই করেছি। যা একেবারেই মিথ্যা। আমি শুধু এটিকে’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। সব পেশাদারদের মতো আমি ফুটবল খেলে কেরিয়ার গড়তে চাই।’ আইএফএ’র পক্ষ জানানো হয়েছে, জবি জাস্টিন টোকেন নয়, ইস্ট বেঙ্গলে দু’বছরের জন্য খেলতে চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠিতে জবির সই রয়েছে। পরে জবি সেই সই নিয়ে বলেন, এটা তাঁর সই নয়। পরে জবির সই হস্তলিপি বিশারদের কাছে পাঠানো হয়। তাতে প্রমাণিত হয়, ওটা জবিরই সই ছিল।’ জবির ব্যাপারে আইএফএ তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ফেডারেশন আইএফএ’কে দায়িত্ব দিয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার। বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা সব দিক খতিয়ে দেখে ফেডারেশনকে রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবে। আইএফএ কর্তারা বলছেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। এবার ফেডারেশন যা করার করবে।’
তবে অতীতে ইস্ট বেঙ্গলে খেলার সময় অবিনাশ রুইদাসের ক্ষেত্রে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৭ সালেও অবিনাশের ক্ষেত্রেও ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি আইএফএ’র বিধান নাকচ করে তাঁকে আইএসএলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল। জবির ক্ষেত্রেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।