যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
ফরাসি লিগের সেরার পুরস্কার পেয়ে ফরাসি উইঙ্গারটির প্রতিক্রিয়া, ‘এই সম্মান আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্টে যা আমায় বাড়তি মোটিভেশন জোগাবে। এই মুহূর্তে দায়িত্ব নিতে আমি তৈরি। তা প্যারি সাঁজাঁ’তেই হোক কিংবা অন্য কোথাও। এখানে হলে দায়িত্ব পালন করা সুবিধা। আর অন্য ক্লাবের জার্সিতে তা সামলানো হবে আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ।’ এমবাপের এই বক্তব্য কি তাঁর দলবদল নিয়ে বিশেষ কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে? বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, নেইমারের দোসর হয়ে পিএসজি’তে আর থাকতে চাইছেন না তিনি। আগামী মরশুমে রিয়াল মাদ্রিদের অফার ভাবাচ্ছে এমবাপেকে। রবিবার এই মন্তব্য তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের পরে মিক্সড জোনেও করেন। উল্লেখ্য, এই গ্রীষ্মে প্যারি সাঁজাঁ থেকে কিলিয়ান এমবাপেকে কিনতে বিশেষ আগ্রহী রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদান। সম্প্রতি দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি আগামী মরশুমের জন্য পরিকল্পনা কষতে শুরু করেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের স্ক্যানারে রয়েছেন ইডেন হ্যাজার্ড-নেইমার-মাওরো ইকার্ডিরা। তবে গতি ও স্কিলের বিস্ফোরণ ঘটানো কিলিয়ান এমবাপের জন্য ২৮০ মিলিয়ন ইউরো দিতেও প্রস্তুত সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটি। জিদানের ধারণা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর অভাব পূরণ করার জন্য এমবাপেই এই মুহূর্তে যোগ্যতম।
দু’বছর আগে বার্সেলোনা থেকে ২২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে নেইমারকে প্যারিসে নিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। এবার সেই ক্লাব থেকে এমবাপে মাদ্রিদে এলে সেটাই হবে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ট্রান্সফার। রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে দল গঠন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে জিজুর। এই সভাতেই তিনি এমবাপের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পেরেজকে বোঝান। উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ মরশুমে মোনাকোর জার্সিতে প্রথম নজর কেড়েছিলেন এই ফরাসি তারকাটি। তারপর পিএসজি’র হয়েও নিয়মিত গোলের মধ্যে রয়েছেন। চলতি মরশুমে লিগে এখনও পর্যন্ত ৩২টি গোল পেয়েছেন এমবাপে। গত বিশ্বকাপেও বিপক্ষ রক্ষণে ত্রাসের সঞ্চার করা ছিল তাঁর অভ্যাস। আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে ম্যাচে এমবাপের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স এখনও ফুটবলপ্রেমীদের চোখে ভাসে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জিদানের পরামর্শে এমবাপেকে নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্যারি সাঁজাঁ তাঁকে সই করায়। তাই এবার কি ফরাসি তারকাটিকে ছাড়বে প্যারিসের ক্লাবটি? রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। জিদান এবং ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের ধারণা, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার লক্ষ্যেই এমবাপে মাদ্রিদে আসতে চাইবেন।