যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আয়োজিত ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে কিউয়িদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অজি ব্রিগেড। ইংল্যান্ডের মাটিতে সেই খেতাব এবার তারা ধরে রাখতে পারবে বলে মনে করছেন ব্রেট লি। তিনি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের উইকেটে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পাবে। সেটাই স্বাভাবিক। জুন-জুলাইয়ে ওখানে উইকেট কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। তবু পেস বোলাররা যদি একটু মাথা খাটিয়ে বোলিং করতে পারে, তবে ব্যাটসম্যানদের ওরা চাপে ফেলতে পারবে। আর বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলে রয়েছে বেশ কয়েকজন ভালো বোলার, যারা ইংল্যান্ডের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে সক্ষম।’ লি সেই সঙ্গে বলেন, ‘আমার ধারণা, দর্শকদের কথা মাথায় রেখে ব্যাটিং সহায়ক পিচই তৈরি করতে চলেছে আইসিসি। লো-স্কোরিং উইকেট হওয়ার প্রবণতা কম। আর ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে স্মিথ-ওয়ার্নাররা জ্বলে উঠলে অস্ট্রেলিয়া এবারও বিশ্বকাপ নিয়ে ঘরে ফিরতেই পারে।’
উল্লেখ্য, বল বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে এক বছরের নির্বাসনে কাটিয়ে সদ্য বাইশ গজে ফিরেছেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএলে নিজেদের দলের হয়ে খেলে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন ওয়ার্নার। সবমিলিয়ে ১২ ম্যাচ থেকে ৬৯২ রান করে দ্বাদশ আইপিএলে কমলা টুপির মালিক হিসেবে শীর্ষস্থানে রয়েছেন বাঁ-হাতি অজি তারকাটি। যার মধ্যে রয়েছে ৮টি হাফ-সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি। আর রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১২ ম্যাচে স্মিথ করেছেন ৩১৯ রান। এতদিন ক্রিকেটের মূল স্রোত থেকে দূরে থেকেও স্মিথ-ওয়ার্নারের ব্যাটের ধার এতটুকু কমেনি। আর সেটাই আসন্ন বিশ্বকাপের নিরিখে তাঁদের সম্পর্কে আশাবাদী করে তুলেছে ব্রেট লি’কে।
প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আর এক প্রাক্তন তারকা শেন ওয়ার্নের কণ্ঠেও। ওয়ার্ন মানতে রাজি নন যে, নির্বাসনে থাকার কোনও নেতিবাচক প্রভাব দুই ক্রিকেটারের মনে পড়েছে বলে। বরং তাঁর দাবি, স্মিথ-ওয়ার্নাররা মানসিকভাবে অনেক বেশি মজবুত হয়ে দলে ফিরেছে। যার সুবিধা পাবে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের আগে ২০০৩ সালে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের কারণে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন ওয়ার্ন। অনেকেই তখন ভেবেছিলেন অজি স্পিনারটির আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে গেল। কিন্তু নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন ওয়ার্ন। নিজের সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অপ্রত্যাশিত কারণে দল থেকে বাদ পড়তে হয়। যা আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল। আমি ১২ মাস দলের বাইরে ছিলাম। তাতে আমি অনেক বেশি তরতাজা হয়ে উঠেছিলাম। মনটা অনেক হালকা ছিল। ভালো কিছু করার খিদেও বেড়ে গিয়েছিল। কারণ, আমি প্রতিটি পদক্ষেপে অনুভব করেছিলাম ক্রিকেট খেলাটা আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, স্মিথ-ওয়ার্নারও নির্বাসন কাটিয়ে আরও শক্তি এবং খিদে নিয়ে দলে ফিরেছে। যা অস্ট্রেলিয়াকে ফের বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করবে।’