মুম্বই, ১৩ মে: আসন্ন ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে আয়োজিত বিশ্বকাপে ভারতীয় দল অন্যতম ফেভারিট হলেও বিরাট-বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আরও পাঁচটি দল তৈরি থাকবে বলে মনে করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিশিষ্ট ক্রিকেটার জন্টি রোডস। মুম্বই টি-২০ লিগে নমো বান্দ্রা ব্লাস্টার্সের মেন্টর হিসাবে কাজ করার জন্য এখন মুম্বইতে রয়েছেন জন্টি রোডস। সোমবার প্র্যাকটিস সেশনের পর তিনি বলেন,‘আমার মতে এবার বিশ্বকাপে প্রায় পাঁচ-ছ’টি দল গায়ে গায়ে আছে। তাই ভারত অন্যতম ফেভারিট হলেও বিরাট-ধোনিদের কাজটি খুব সহজ হবে না। ভারত ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড টিম প্রচণ্ড শক্তিশালী। দলের ভারসাম্যও বেশি ওই দুটি দলে। তাই সেমি-ফাইনালে গেলেও ভারতকে বেশ শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।’
জন্টি রোডস বলেন,‘১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ হয়েছিল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে। সেবার কিন্তু অনেক দলকে চমকে দিয়ে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। প্রতিযোগিতার শুরুতে পাকিস্তানকে ফেভারিট হিসাবে কেউ ধরেননি। এবারও রাউন্ড রবিন লিগের নিয়মে খেলা হচ্ছে। এবারও ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপের মতো ইংল্যান্ডেও চমকপ্রদ কিছু ঘটতে পারে। ৫ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচটি খেলছে ভারত। ওই ম্যাচটি বিরাটদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
জন্টি রোডস বলেন,‘অ্যাসোসিয়েট দেশগুলি সুযোগ পেলে হয়তো ভালো হত। কিন্তু বিশ্বকাপে ক্রিকেটপ্রেমীরা ‘লুজ’ ম্যাচ দেখতে তেমন পছন্দ করেন না। বেশি অ্যাসোসিয়েট দেশ খেললে বিশ্বকাপের সামগ্রিক মান প্রত্যাশিত স্তরে পৌঁছয় না। আমার মনে হয়, এবার শেষ পর্বে সেমি-ফাইনালে যাওয়ার জন্য জোর লড়াই দেখা যাবে।’ জন্টির চোখে হার্দিক পান্ডিয়া এবারের বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। তবে টি-২০ ক্রিকেটে সফল হওয়া ৫০-৫০ ফরম্যাটের চেয়ে অনেক সোজা। টি-২০ ক্রিকেটে মাত্র দুই ওভারে ম্যাচের ছবি বদলে দিতে পারেন কোনও ব্যাটসম্যান। হয়ে যেতে পারে হিরো। কিন্তু একদিনের ক্রিকেটে নায়ক হতে গেলে ১৫-২০ ওভার উইকেটে টিকে থাকতে হবে। হার্দিক অলরাউন্ডার হিসাবে যখন ব্যাট করতে নামে তখন অধিকাংশ ম্যাচেই ৩৪-৩৫ ওভার হয়ে যায়। হার্দিককে কার্যকরী করতে হলে ছয় নম্বরে নেমে ওকে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলার মানসিকতা দেখাতে হবে। এই ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’ হার্দিক পান্ডিয়া করতে পারে কিনা তা নিয়ে কৌতুহল থাকবে। এদিন ফিল্ডিং নিয়ে বান্দ্রা ব্লাস্টার্সের খেলোয়াড়দের সামনে বক্তব্য রাখেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। সেখানে তিনি ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ইনজামামকে চোখের পলকে রান আউট করার ব্যাপারটি তুলে ধরেন।
পোলার্ডের জরিমানা: রবিবার আইপিএল ফাইনালে আম্পায়ারের সঙ্গে অভব্যতা করার সময়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটসম্যান কিয়েরন পোলার্ডের ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা হয়েছে। ডোয়েন ব্র্যাভোর বল কেন ওয়াইড ডাকা হচ্ছে না তা নিয়েই আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।