উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
প্যারিস, ১২ মে: টানা তিনটি ম্যাচ জয়ের মুখ দেখেনি প্যারি সাঁজাঁ। মরশুমের শেষ পর্বে দলের এরকম পারফরম্যান্সে চিন্তিত ছিলেন কোচ টমাস টুচেল। শনিবার তাঁর দলকে জয়ের পথে ফেরালেন নেইমার ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। অ্যাওয়ে ম্যাচে অ্যাঙ্গার্সকে হারিয়ে আপাতত স্বস্তি পিএসজি শিবিরে। সাসপেনশন শুরু হওয়ার আগের ম্যাচে গোল পেয়ে খুশি ব্রাজিলিয়ান তারকাটিও। উল্লেখ্য, এটাই ছিল চলতি লিগে তাঁর শেষ ম্যাচ। খেলার পর নেইমার বলেছেন, ‘দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আরও বড় ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল আমাদের। প্রথমার্ধে কমপক্ষে চারটি সহজ সুযোগ নষ্ট হয়েছে।’
অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও শুরু থেকে প্রাধান্য ছিল পিএসজি’র। ২০ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান কম্বিনেশনে প্রথম গোল তুলে নেয় তারা। ডানদিক থেকে ড্যানি আলভেসের ভাসানো বলে নেইমারের হেড জালে আশ্রয় নেয় (১-০)। এর আগে এডিনসন কাভানি লক্ষ্যভেদে নির্ভুল থাকলেও তা অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়। প্রথমার্ধে নেইমার-কাভানিরা একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। পক্ষান্তরে, ১৭ মিনিটে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে নেওয়া বাহোকের প্রয়াস রুখে দেন পিএসজি’র অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি বুফোঁ। বিরতির পরেও নেইমারদের প্রাধান্য ছিল সংশয়াতীত। পাসিং ফুটবল খেলে তাঁরা বিপক্ষ রক্ষণকে চাপে রাখেন। ৫৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় টমাস টুচেল-ব্রিগেড। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে বঁ দিক থেকে আক্রমণটি তৈরি করেন নেইমার। বিপক্ষের তিনজন ফুটবলারকে বোকা বানিয়ে তাঁর ঠিকানা লেখা সেন্টার খুঁজে নেয় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার মাথা (২-০)। এরপর ড্যানি আলভেসের দু’টি প্রয়াস প্রতিহত হয়। শেষপর্বে অ্যাঙ্গার্স বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায়। ৮৫ মিনিটে বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগে কাঙ্গাকে ফাউল করেন মার্কুইনহোস। রেফারি সঙ্গেসঙ্গে পিএসজি’র ডিফেন্ডারটিকে লাল কার্ড দেখান এবং পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পটকিক থেকে নেওয়া টেইটের শট ডানদিকে শরীর ছুঁড়ে রুখে দেন বুফোঁ। কিন্তু ফিরতি বল সহজেই গোলে ঠেলে দিতে ভুল হয়নি টেইটের (২-১)।
ফরাসি লিগ ইতিমধ্যেই পকেটে পুরেছে পিএসজি। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ায় কোচ টমাস টুচেলের উপর খুশি নন সমর্থকরা। তাঁদের একাংশ অসন্তুষ্ট নেইমারের উপরেও। অনেকের ধারণা, পরপর দু’টি মরশুমে চোটের বাহানায় মরশুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাঠে নামেননি ব্রাজিলিয়ান তারকাটি।