উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
অবামেয়াং ও ল্যাকাজেটে, এই দুই ফরোয়ার্ডের বোঝাপড়াই চলতি মরশুমে আর্সেনালের সম্পদ। ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালে দলের সাতটি গোলই এসেছে এই দু’জনের থেকে। ম্যাচের শেষে তাই উনেই এমেরির কণ্ঠে শোনা গেল প্রশংসা, ‘বিপক্ষ বক্সে অবামেয়াংয়ের গোলক্ষুধা এবং ল্যাকাজেটের সেন্স বিশ্বের যে কোনও রক্ষণকে বিপদে ফেলতে পারে। ভ্যালেন্সিয়া তার প্রমাণ পেল। যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠেছি আমরা। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ইউরোপা লিগ, দু’টি প্রতিযোগিতাতেই ফাইনালে খেলবে ইংল্যান্ডের ক্লাব। অর্থাৎ, অন্য দেশের লিগগুলির থেকে ইপিএল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে।’
ঘরের মাঠে অবশ্য শুরুটা খারাপ করেনি ভ্যালেন্সিয়া। ১১ মিনিটে রডরিগোর বাড়ানো বল থেকে গামেইরোর গোল তাদের কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেয় (১-০)। তবে এই অগ্রগমন দীর্ঘায়িত হয়নি। ১৭ মিনিটে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান অবমেয়াং। ল্যাকাজেটের পাস চেস্ট রিসিভে নামিয়ে ডান পায়ের আউটস্টেপে জাল কাঁপান গাবনের স্ট্রাইকারটি (১-১)। এরপর প্রাধান্য বজায় রাখলেও গোল পায়নি স্প্যানিশ ক্লাবটি। বিরতির আগে অবামেয়াংয়ের প্রয়াস পোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন ল্যাকাজেটে (২-১)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন ছন্দে থাকা টোরেইরা। এরপর ভ্যালেন্সিয়া পরপর কয়েকটি আক্রমণ শানায়। ৫৮ মিনিটে দলের তথা নিজের দ্বিতীয় গোল গামেইরোর (২-২)। তবে দ্বিতীয় গোল হজমের পর প্রতিপক্ষকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দেয়নি উনেই এমেরি-ব্রিগেড। মেসুট ওজিলের পরিবর্তে হেনরিখ মিখিতারিয়ান নামার পর আর্সেনালের মাঝমাঠকে সংঘবদ্ধ দেখিয়েছে। ৬৯ মিনিটে তৃতীয় গোল গানার্সদের। ডানদিক থেকে আক্রমণটি তৈরি করেছিলেন মেটল্যান্ড-নাইলস। বক্সে বাড়ানো তাঁর মাইনাসে পা ছুঁইয়ে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি সুযোগসন্ধানী অবামেয়াংয়ের (৩-২)। ম্যাচের শেষপর্বে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন তিনি। হেনরিখ মিখিতারিয়ানের বুদ্ধিদীপ্ত পাস বুঝতেই পারেননি ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্ডাররা। সেই সুযোগ কাজে লাগান অবামেয়াং (৪-২)।
ম্যাচের পরে গাবনের তারকা স্ট্রাইকারটি বলেন, ‘ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই মুহূর্তে আমরা পঞ্চম স্থানে রয়েছি। শেষ ম্যাচ জিতলেও প্রথম চারের মধ্যে থাকার আশা কম। তাই আগামী মরশুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এবার ইউরোপা লিগ জিততে চাই। সেমি-ফাইনালে ভ্যালেন্সিয়ার মতো দলকে হারিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। হ্যাটট্রিক পেলেও এই জয়ে প্রত্যেকের সমান অবদান রয়েছে। ল্যাকাজেটে, মিখিতারিয়ানরা দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে।’