বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
গত বছর ইস্ট বেঙ্গলও কখনও ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে কাজ না করা স্প্যানিশ কোচ আলেজান্দ্রোকে এনেছিল। আই লিগ জিততে না পারলেও তিনি অনেকটা সফল হয়েছিলেন। মোহন বাগান শীর্ষ কর্তাদের আশা, স্পেন ও পোল্যান্ডে একাধিক ক্লাবে কাজ করা কিবু ভিচুনা নতুন মরশুমে আলেজান্দ্রোর মতোই দাঁড়িয়ে যাবেন। এবার মোহন বাগানে কোচ হিসাবে ট্রেভর মরগ্যান, অ্যাশলে ওয়েস্টউডের নাম বাতাসে ভাসছিল। মরগ্যান নিজে যোগাযোগ করেছিলেন মোহন বাগানের সঙ্গে। তবে তিন দফায় ইস্ট বেঙ্গলে কাজ করা মরগ্যানকে দায়িত্ব দিতে চাননি মোহন বাগান কর্তারা। শেষ দফায় মরগ্যান লাল-হলুদে বেইজ্জত হয়েছিলেন।
সবুজ-মেরুন কর্তাদের আশা ভিচুনা স্পেন এবং পোল্যান্ডে কাজ করার সূত্রে সুলভে কিছু ইউরোপিয়ান ফুটবলার (বিশেষত পোলিশ বা স্প্যানিশ) এনে দিতে পারবেন। তাই ভারতীয় ফুটবলে অচেনা হলেও কিবু ভিচুনাকে দেওয়া হল দায়িত্ব। আই লিগ এবং আইএসএল মিলিয়ে বেশ কিছু স্প্যানিশ এখন ভারতীয় সার্কিটে। মোহন বাগান কর্তারা প্রথমে তিন স্প্যানিশ কোচের নাম শর্ট লিস্ট করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের চেয়ে এই কোচের বায়ো-ডেটা অনেক ভালো। আর্থিক চাহিদা সাধ্যের মধ্যে। তাই দায়িত্ব পেলেন উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী কিবু ভিচুনা। তিনি জুনের শেষ সপ্তাহে আসছেন শহরে। তখনই শুরু হবে মোহন বাগানের অনুশীলন। কিবুর শেষ ক্লাব পোল্যান্ডের প্রথম ডিভিশন ক্লাব উইসলা প্লোক । ২০১২-১৩ সালে পোলিশ লিগ এবং পোলিশ কাপ জিতেছিল লিজিয়া ওয়ারশ। তিনি সেই দলের কোচিং স্টাফ ছিলেন। ২০১৫-১৬ মরশুমে তিনি পোলিশ কাপ চ্যাম্পিয়ন লেচ পজনান ক্লাবের সাপোর্ট স্টাফ ছিলেন। ২০১২-১৩ মরশুমে পোল্যান্ড লিগ চ্যাম্পিয়ন দল লেজিয়া ওয়ারশ ক্লাবের সাপোর্ট স্টাফ হিসাবে তাঁর ২০১৩-১৪ মরশুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাছাই পর্বের ম্যাচে সাইড বেঞ্চে বসার অভিজ্ঞতা আছে। সেবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাছাই পর্বে হেরে গেলেও লেজিয়া ওয়ারশ খেলেছিল ইউরোপা লিগে। সেই সময়ে পোলিশ ক্লাবটির সহকারী ছিলেন তিনি। এই সব সূত্রেই রাহুল গার্সিয়া, নাচো মনরিয়াল, জাভি মার্টিনেজদের কোচ হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। কারণ তিনি লা লিগার অন্যতম ক্লাব সিএ ওসাসুনার যুব উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিবু ইংরেজি জানেন। বিদেশি সাপোর্ট স্টাফ তিনিই আনবেন।
মোহন বাগানের অর্থ সচিব ও সহ সচিব জানান, ‘ওঁর সঙ্গে কথা বলে আমাদের ভালো লেগেছে। উনি জুনিয়রদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। ওর অভিজ্ঞতা প্রচুর। আশা করি, উনি ক্লাবকে সাফল্য এনে দিতে পারবেন।’ উল্লেখ্য, ছয় বছর পর মোহন বাগানে আবার বিদেশি কোচ। সবুজ-মেরুনে শেষ বিদেশি কোচ হিসাবে ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন করিম বেঞ্চারিফা। গত সাত বছরে মোহন বাগানের দায়িত্বে ছিলেন চার স্বদেশি কোচ (সুভাষ ভৌমিক, সঞ্জয় সেন, শঙ্করলাল চক্রবর্তী ও খালিদ জামিল)।