বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
বার্সেলোনার বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তনের জন্য লিভারপুল সময় পেয়েছিল ৯০ মিনিট। ন্যু ক্যাম্পে হজম করা তিন গোলের ব্যবধান তারা অ্যানফিল্ডে মুছে ফেলে। প্রথম পর্বের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল আয়াখস। বুধবার সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের প্রথমার্ধে তারা এগিয়ে ছিল দু’গোলে। ডে লিট ও জিয়েখের লক্ষ্যভেদে তখন ঝলমল করছে এরিক টেন হ্যাগের দল। কিন্তু বিরতির পর দুরন্ত প্রেসিং ফুটবল খেলে এবং অবশ্যই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আয়াখসকে নাস্তানাবুদ করে টটেনহ্যাম। দলের প্রধান স্ট্রাইকার হ্যারি কেন চোটের কারণে বাইরে থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের ক্লাবটির এই জয় অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
গত সপ্তাহে ঘরের মাঠে টটেনহ্যাম হটস্পার ০-১ গোলে হার মেনেছিল আয়াখসের কাছে। সেদিন গোল পেয়েছিলেন ডে লিট। বুধবার আমস্টারডামের জোহান ক্রুয়েফ এরিয়নায় তাঁর লক্ষ্যভেদেই লিড নেয় ডাচ ক্লাবটি। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে ডানদিক থেকে স্কোনের ভাসানো কর্নারে নিখুঁত হেডে টটেনহ্যাম গোলরক্ষক হুগো লরিসকে হার মানান ডে লিট (১-০)। এরপরেই সন হিউন মিনের প্রয়াস পোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে চোখ ধাঁধানো ফুটবল উপহার দেয় আয়াখস। মাঝমাঠে ফ্রেঙ্কি ডে জং-হাকিম জিয়েখদের বোঝাপড়া রুখতে হিমসিম খায় টটেনহ্যাম। উল্লেখ্য, ওয়ার্ম-আপের সময় চোট পাওয়ায় এই ম্যাচে খেলতে পারেননি আয়াখসের ব্রাজিলিয়ান তারকা ডেভিড নেরেস। তাঁর পরিবর্তে কাসপার ডলবার্গকে স্টার্টিং লাইন-আপে রাখতে বাধ্য হন কোচ এরিক টেন হ্যাগ। আয়াখসের দ্বিতীয় গোল ৩৫ মিনিটে। তাদের পরিকল্পিত আক্রমণ বুঝতেই পারেনি টটেনহ্যাম রক্ষণ। বাঁ দিক থেকে আক্রমণটি তৈরি করেন ডুসান ট্যাডিচ। তাঁর পাস থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান জিয়েখ (২-০)। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছ’টি গোল এবং চারটি অ্যাসিস্ট করেছেন ট্যাডিচ। যিনি আগে খেলতেন সাদাম্পটনে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পরিবর্ত হিসেবে ফার্নান্দো লরেন্তেকে নামিয়ে আক্রমণে তীব্রতা বাড়াতে চেয়েছিলেন টটেনহ্যাম কোচ মরিসিও পোচেত্তিনো। তাঁর স্ট্র্যাটেজি ছিল, প্রেসিং ফুটবল খেলে বিপক্ষ রক্ষণে চাপ বজায় রাখা। ডেলে আলি-লুকাস মউরারা কোচের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করেছেন। ৫৫ মিনিটে ডেলে আলির পাস থেকে বুদ্ধিদীপ্ত শটে ব্যবধান কমান মউরা (২-১)। এই গোলেই টটেনহ্যামকে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস জোগায়। চার মিনিট পরে সমতা ফেরান তিনিই। লরেন্তের প্রয়াস আয়াখস গোলরক্ষক ওনানা কোনওরকমে প্রতিহত করেন। কিন্তু সেই বল ধরে দুরন্ত টার্নিংয়ে গোলমুখ খুঁজে নেন মউরা। তারপর নিখুঁত শটে কাঁপিয়ে দেন জাল (২-২)। এরপর দুই দলই গোলের সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেনি। ৭৯ মিনিটে জিয়েখের প্রচেষ্টা বিপক্ষ গোলরক্ষক হুগো লরিসকে হার মানিয়ে পোস্টে প্রতিহত হয়। ম্যাচের বাকি পর্বে টটেনহ্যাম একের পর এক আক্রমণ শানায়। যা রুখতে রক্ষণাত্মক হতে হয় আয়াখসকে। সংযোজিত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ডেলে আলির পাস থেকে অনবদ্য শটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন লুকাস মউরা (৩-২)। তাঁর এই গোলই টটেনহ্যাম হটস্পারকে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উন্নীত করল। এর আগে দু’টি ইংলিশ ক্লাব চেলসি ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড শেষবার ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ম্যান ইউ।