উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
শনিবার ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে মিলেনকোভিচের গোলে লিড নেয় ফিওরেন্তিনা (১-০)। সেই গোল শোধ দেন অ্যালেক্স স্যান্ড্রো (১-১)। তখন ম্যাচের বয়স ৩৭ মিনিট। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে পেজেল্লার আত্মঘাতী গোল মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দেয় জুভেন্তাসকে (২-১)। শেষ বাঁশি বাজার পরে মাঠেই বিজয়োল্লাস শুরু করে দেন জুভেন্তাস ফুটবলাররা। তাদের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অবশ্যই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা এবং সিরি-এ খেতাব পাওয়ার ব্যাপারে তিনিই পথিকৃৎ। তাঁর আগে এই কৃতিত্ব আর কারও কপালে জোটেনি। ম্যাচের পর এক সাক্ষাৎকারে সিআরসেভেন বলেন, ‘যোগ্য দল হিসেবেই আমরা লিগ জিতলাম। জুভেন্তাসে প্রথম বছর ভালোই কাটছে। নতুন দেশে অন্য সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় লাগে। আশা করছি, আগামী মরশুমে আরও ভালো খেলব। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিলেও আমরা খারাপ খেলিনি। ইউরোপের প্রায় সবক’টি শক্তিশালী দলই চায় এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে। কিন্তু হয় মাত্র একটি ক্লাব। তাই আয়াখসের কাছে হেরে হতাশার কিছু নেই। আগামী মরশুম নতুন উদ্যমে শুরু করতে হবে।’
জুভেন্তাস ছাড়ার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে রোনাল্ডোর মন্তব্য, ‘আগামী মরশুমে এই ক্লাবেই থাকছি। এই ব্যাপারে আমি হাজার শতাংশ নিশ্চিত। কোচ, কর্তা ও সহ-ফুটবলারদের সহযোগিতায় আমি গর্বিত। জুভেন্তাস সমর্থকদের ভালোবাসা আমার সম্পদ। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে তুরিনে আসার পর থেকেই সবাই আমায় আপন করে নিয়েছেন। সাফল্য হোক বা ব্যর্থতা, সবসময়েই অনুরাগীদের পাশে পেয়েছি। তাই ওদের জন্যই আগামী মরশুমে নিজেকে ছাপিয়ে যেতে চাই। জুভেন্তাস ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’
কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেই আমরা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তা সত্ত্বেও অনেকে সমালোচনায় ব্যস্ত। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ায় কোচ হিসেবে আমারও খারাপ লেগেছে। কিন্তু তার জন্য লিগ জয়কে খাটো করে দেখা উচিত নয়। হতে পারে, টানা আটবার জুভেন্তাস এই খেতাব পাওয়ায় সমালোচকরা লিগকে তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু আমরা চ্যাম্পিয়ন না হলে তাঁরাই ডাবল সমালোচনায় ভরিয়ে দিতেন।’ রোনাল্ডোর ক্লাব ছাড়া সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়া গুজব প্রসঙ্গে অ্যালেগ্রির উত্তর, ‘মরশুমের শেষ পর্বে তারকা ফুটবলারদের নিয়ে এরকম খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর রোনাল্ডোকে নিয়ে নতুন কিছু লিখতে পারলে তো কথাই নেই। এই মরশুমে ওকে কাছ থেকে দেখছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই জানি, রোনাল্ডোর মতো পেশাদার এবং দায়বদ্ধ ফুটবলার এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলে খুব কমই আছে।’