উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কেকেআর অধিনায়ক ভালোই জানেন, বিশ্বকাপের আগে মনোবল বাড়িয়ে নেওয়ার সেরা মঞ্চ আপাতত আইপিএল। বাকি ম্যাচগুলিতে যদি তিনি ভালো পারফর্ম করতে পারেন, তাহলে টিম ম্যানেজমেন্টেরও আস্থা বাড়বে তাঁর উপর। কার্তিক তাই বলছেন, ‘বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে যাবতীয় জল্পনা শেষ। আমার মনে হয় সবাই এখন আইপিএলে ভালো খেলার উপর জোর দেবে। ভারতীয় দলের সব ক্রিকেটারই নিজের সেরা পারফরম্যান্সটা মেলে ধরার চেষ্টা করবে। তাই আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে খুব ভালো লড়াই দেখা যেতে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ক্রিকেটারদের পিছনে সব কিছু উজাড় করে দিয়েছে। তাই ক্রিকেটাররা এবার প্রতিদান হিসাবে ট্রফি জেতার জন্য ঝাঁপাবে।’
দ্বাদশ আইপিএলে শুরুটা ভালো করলেও কেকেআর ক্রমশ পায়ের তলার জমি হারাচ্ছে। একটা সময় নাইটরা পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ছিল। সেখান থেকে ক্রমশ নীচের দিকে নামছে কেকেআর। প্রতিপক্ষ আরসিবির কাছেও মরণ-বাঁচন ম্যাচ। বিরাট কোহলির দলকে তাই হালকাভাবে নিতে চান না কেকেআর ক্যাপ্টেন দীনেশ কার্তিক। তিনি বলেছেন, ‘আরসিবি খুব ভালো দল। এখন প্রতিটা ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। জেতার জন্য আমরা সেরা পারফরম্যান্সটা মেলে ধরার মরিয়া চেষ্টা করব। বিরাট কোহলি ও এবি ডি’ভিলিয়ার্স বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। ওদের আটকানো সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জ, তবে ওদের দু’জনের জন্য আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। হাল ছাড়লে হবে না। সাধ্যমতো চেষ্টা করতে হবে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে আমরা শেষ তিনটি ম্যাচে খুব খারাপ খেলেছি। বোলিংয়ে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলিং কোচ আশিস নেহরা আশাবাদী, ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে তাঁর দল ভালো খেলবে। আন্দ্রে রাসেল যদি মাঠে নামতে না পারেন, তাহলে কি বাড়তি সুবিধা পাবে আরসিবি? জবাবে নেহরা বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসাবে বলব, রাসেল এই ম্যাচটা খেলুক। ক্রিকেটপ্রেমীরা ভালো খেলা দেখার জন্য মাঠে আসেন। রাসেলের খেলা অনেকের ভালো লাগে। তবে রাসেলকে বড় রান করতে না দেওয়াটাই হবে আমাদের লক্ষ্য। আমরা যদি মনে করি রাসেল নেই তো সুবিধা হবে, তাহলে দেখবেন শুভমান গিল পর পর ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেবে।’